গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গাজ়ায় শান্তি ফেরানোর জন্য ইজ়রায়েল এবং প্যালেস্টাইনের আলোচনার পক্ষে সওয়াল করছে ভারত। তা হলে কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর জন্য নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ আলোচনায় বাধা কোথায়? সোমবার এই প্রশ্ন তুললেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। সেই সঙ্গে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান না হলে, গাজ়ার মতোই পরিণতি হতে পারে কাশ্মীরের।
সাড়ে চার বছর আগে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সীমান্তে পাক সেনার গোলাবাজি এবং উপত্যকার অন্দরে জঙ্গি হামলা এক যোগে চালু রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ২০১৯ সালের ৫ অগস্টের পদক্ষেপে সুপ্রিম কোর্ট সায় দেওয়ার পরে পুঞ্চে হয়ে গিয়েছে সেনার গাড়িতে হামলা। এই আবহে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় জন্য তাঁর সওয়াল ঘিরে বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন ফারুক নিজেই। তার মোকাবিলায় আগাম ‘হাতিয়ার’ করেছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর দু’টি মন্তব্যকে।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী বলেছিলেন, বন্ধু বদলানো যায় কিন্তু প্রতিবেশী বদলানো যায় না। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখলে দু’তরফেরই উন্নতি হয়।’’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মোদীজির তো বলেছেন, এটি যুদ্ধের যুগ নয়।’’ প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর পার্শ্ববৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানার পরামর্শ দিয়েছিলেন মোদী। বলেছিলেন, ‘‘এই সময়টা যুদ্ধের নয়।’’