Delhi Fire

দিল্লির শিশু হাসপাতালে আগুন, মধ্যরাতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু সাত সদ্যোজাতের! জখম আরও কয়েক জন

পূর্ব দিল্লির বিবেক বিহার এলাকার একটি শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র থেকে শনিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট নাগাদ দমকলের কাছে ফোন যায়। হাসপাতালে কী ভাবে আগুন লাগল, এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০২৪ ০৭:৩৭
দিল্লির শিশু হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড।

দিল্লির শিশু হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। ছবি: এএনআই।

দিল্লির একটি শিশু হাসপাতালে শনিবার রাতে আগুন লেগে গিয়েছিল। তাতে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল সাত জন সদ্যোজাত শিশুর। দমকল গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং শিশুদের উদ্ধার করে। চিকিৎসা চলাকালীন ছ’জনের মৃত্যু হয়। রবিবার সকালে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। জখম অবস্থায় আরও কয়েক জনের চিকিৎসা চলছে অন্য একটি হাসপাতালে। হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। তিনি পলাতক। তাঁকে খুঁজতে রাজস্থানের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে দিল্লি পুলিশের একটি দল।

Advertisement

পূর্ব দিল্লির বিবেক বিহার এলাকার ঘটনা। সেখানকার একটি শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র থেকে শনিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট নাগাদ দমকলের কাছে ফোন যায়। হাসপাতালে কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে আগুন বিভিন্ন ওয়ার্ডে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। বেশ কিছু ক্ষণের চেষ্টায় হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা।

দমকল ওই হাসপাতাল থেকে ১২ জন শিশুকে উদ্ধার করেছিল। রাতেই মৃত্যু হয় ছ’জনের। এক জনকে ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রেখেছিলেন চিকিৎসকেরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রবিবার সকালে তারও মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতালে শনিবার রাতে অনেক সদ্যোজাত শিশু চিকিৎসাধীন ছিল। দমকলকর্মীরা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে। শিশুদের অভিভাবকেরা আগুনের আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদেরও। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধারের পর চিকিৎসা চলাকালীন সাত জন সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও পাঁচ শিশু।

এর আগে শনিবারই গুজরাতের গেমিং জ়োনে আগুন লেগে অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ন’জন শিশুও ছিল। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোক প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তার মাঝেই শনিবার রাতে দিল্লির শিশু হাসপাতালে আগুনের ঘটনা ঘটল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement