Framers’ Protest in Delhi

বুধবার দিনভর সক্রিয় কৃষকেরা, বৃহস্পতিতে হতে পারে কেন্দ্রের সঙ্গে তৃতীয় বৈঠক

কৃষক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বুধবার দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে দিল্লি সীমান্ত। কৃষকদের আটকাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তা থেকে বাঁচতে মুলতানি মাটি মাখেন বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৪৬
Farmers will have third round of talks with Centre on Thursday

দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস। ছবি: পিটিআই।

কৃষকদের আন্দোলনের আবহে বুধবার দিনভর উত্তপ্ত থেকেছে রাজধানী সংলগ্ন এলাকা। কেন্দ্রের সঙ্গে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিনিধি তৃতীয় বার বৈঠক করতে পারেন বৃহস্পতিবার। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই তৃতীয় বৈঠকের দিন স্থির হয়েছে। যদিও এখনও বৈঠকের সময় জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক করবে কেন্দ্র।

Advertisement

কেন্দ্রের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার থেকে ‘দিল্লি চলো’ যাত্রা শুরু করেছেন কৃষকরা। উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা— মূলত এই তিন রাজ্যের প্রায় সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। যা নিয়ে মঙ্গলবারের পর বুধবারও সারা দিন সরগরম ছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের একাংশ।

সকাল থেকেই সিঙ্ঘু সীমানায় নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছিল। কৃষকদের রুখতে বদ্ধপরিকর ছিল পুলিশ। গাজিপুর সীমান্তে বহুস্তরীয় ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, কৃষকদের প্রতি ‘নরম মনোভাব’ দেখানো হবে না। তাঁরা যদি আক্রমণাত্মক হন, তবে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে। কৃষকেরা রণমূর্তি ধারণ করলে তাঁদের আটকাতে লঙ্কাগুঁড়ো ব্যবহার করা হবে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

সকালে কয়েকশো ট্র্যাক্টর নিয়ে শম্ভু সীমানায় জমায়েত শুরু করেন কৃষকেরা। উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় নতুন করে। দিল্লি-সোনিপত লাগোয়া সিঙ্ঘু এবং দিল্লি-বাহাদুরগড় লাগোয়া টিকরি সীমানায় যানবাহন চলাচল অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষুদ্ধ কৃষকদের ছত্রভঙ্গ করতে আবার কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তা থেকে বাঁচতে মুলতানি মাটি মাখেন কৃষকেরা।

কৃষকদের দাবি মেনে না নেওয়া হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের ‘ভারত বন্‌ধ’ পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা রাকেশ টিকাইত।

কৃষক আন্দোলনের কেন্দ্রে রয়েছে কৃষকদের দু’টি বড় সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা এবং কিসান মজদুর মোর্চা। গত ডিসেম্বরেই তারা দাবি আদায়ের জন্য ‘দিল্লি চলো’ অভিযানের ডাক দেয়। দু’টি সংগঠনের আওতায় মূলত পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশের সাড়ে তিনশোটি ছোট-বড় কৃষক সংগঠন রয়েছে।

আন্দোলনে নামা কৃষকদের দাবি ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকে। একই সঙ্গে সমস্ত কৃষিঋণ মকুব করতে হবে। স্বামীনাথন কমিশনের প্রস্তাব মেনে ফসলের ন্যায্য সহায়ক মূল্য দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০-২১ সালের প্রতিবাদে কৃষকদের বিরুদ্ধে রুজু হওয়া মামলা খারিজের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই দুই রাজ্যের মধ্যবর্তী শম্ভু সীমানায় মঙ্গলবার প্রতিবাদী কৃষকদের রুখতে ড্রোন দিয়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশ এবং কৃষকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বুধবারও প্রায় একই ছবি দেখা গেল কৃষক আন্দোলনে।

আরও পড়ুন
Advertisement