Farmers’ Protest

ফের দিল্লির পথে কৃষকেরা, আন্দোলনকারীদের রুখতে প্রস্তুত পুলিশও, আরও আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা

বুধবার সকাল থেকেই কৃষকেরা তোড়জোড় শুরু করেছেন। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারির পর থেকেই নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। শম্ভু, সিংঙ্ঘু, খানৌরি এবং টিকরি সীমানায় পাহারা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৪
Farmers to resume Delhi March Today police increase surveillance on border

দিল্লি সীমানায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ছবি সংগৃহীত।

আবারও ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচি শুরু করতে চলেছে কৃষকেরা। দিন কয়েক বিরতির পর তাঁরা সেই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ তো বটেই দেশের অন্যান্য কয়েকটি রাজ্য থেকেও কৃষকদের রাজধানীতে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্য দিকে, কৃষকদের আটকাতে প্রস্তুত পুলিশও। সীমানা তো বটেই দিল্লির বিভিন্ন জায়গাতেও পুলিশি নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

Advertisement

গত ৩ মার্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার নেতা সরবন সিংহ পান্ধে জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁরা আবারও রাজধানীতে ঢোকার চেষ্টা করবেন। তিনি এও বলেন, ‘‘যাঁরা ট্র্যাক্টর নিয়ে দিল্লি ঢুকতে পারবেন না, তাঁরা ট্রেন বা অন্যান্য পরিবহণে করে রাজধানী যেতে পারেন। আমরা দেখতে চাই ট্র্যাক্টর-ট্রলি ছাড়া সরকার তাঁদের (কৃষকদের) কী ভাবে আটকায়।’’

সেই মতোই বুধবার সকাল থেকেই কৃষকেরা তোড়জোড় শুরু করেছেন। তবে তাঁরা কখন তাঁদের অভিযান শুরু করবেন বা কী ভাবে তাঁরা দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তা নিয়ে বিশদে কিছু জানা যায়নি। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারির পর থেকেই নিরাপত্তা আঁটসাঁট করা হয়েছে। শম্ভু, সিংঙ্ঘু, খানৌরি এবং টিকরি সীমানাতে পাহারা বৃদ্ধি করেছে পুলিশ। এক উচ্চপদস্থ এক পুলিশকর্তার কথায়, “সিংঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানাতে যে অস্থায়ী ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছিল তা সরানো হয়েছে। তবে পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন থাকবে আগের মতোই।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দিল্লির রেলওয়ে স্টেশন, মেট্রো স্টেশন এবং বাসস্ট্যান্ডগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কাউকে কোনও ভাবেই আইন লঙ্ঘন করতে দেওয়া হবে না। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। শহরে যানজট এড়াতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’

নিজেদের দাবিদাওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাব থেকে কয়েক হাজার কৃষক দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেয়। আন্দোলনকারী সেই কৃষকদের পঞ্জাব-হরিয়ানার শম্ভু সীমান্তেই আটকে দেয় হরিয়ানা পুলিশ। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরেই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সেই থেকে কৃষকেরা সীমানার সামনে বসেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল দিল্লিতে প্রবেশের সিঙ্ঘু এবং টিকরি সীমানা। সেখানে বড় বড় বোল্ডার, বালির বস্তা, পেরেক পুঁতে রাখা হয়। তবে ২৫ ফেব্রুয়ারি সেই দুই সীমানা খুলে দেওয়া হল। সিদ্ধান্ত ঘোষণা হতেই ক্রেন দিয়ে সরানো হয়েছিল ভারী বোল্ডারও। তবে নতুন করে কৃষকেরা ‘দিল্লি চলো’র ডাক দেওয়ায় পুলিশও নিরাপত্তার দিকে জোর দিয়েছে।

আরও পড়ুন
Advertisement