(বাঁ দিকে) জখম দু’জনকে উদ্ধার করা হচ্ছে। অভিনেতা অল্লু অর্জুন (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
মাথায় চোটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্নায়ু। ১৪ দিন কেটে গেলেও শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। এখনও ভেন্টিলেশনেই রয়েছে ‘পুষ্পা ২’-র প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট খুদে। মঙ্গলবার তাকে দেখতে হাসপাতালে যান হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ।
গত ৪ ডিসেম্বর ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারের রাতে হায়দরাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩৫ বছরের এক মহিলার। গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাঁর আট বছরের ছেলে সাই তেজকে। ওই ঘটনার পর ১৪ দিন কেটে গেলেও এখনও চিকিৎসাধীন তেজ। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্গাবাই দেশমুখ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কেআইএমএস হাসপাতালে। সেখানেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মস্তিষ্কে চোট পেয়েছে তেজ। পদপিষ্টের ঘটনায় কিছু ক্ষণের জন্য মস্তিষ্কে অক্সিজেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তার। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এখনও তার স্নায়বিক অবস্থার কোনও উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তার জন্য নাকে ঢোকাতে হয়েছে নল।
মঙ্গলবার আহত শিশুর সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যান হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ। তিনি জানিয়েছেন, সুস্থ হয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগবে তেজের। তবে নানা আইনি জটিলতার কারণে এখনও শিশুটিকে দেখতে যেতে পারেননি অভিনেতা অল্লু অর্জুন। তবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। জোড়হাতে বলেছেন, দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের পাশেই আছেন অভিনেতা। প্রয়োজনে তিনি গুরুতর আহত কিশোরের চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিতেও প্রস্তুত।
মৃতার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে অল্লু, নিরাপত্তারক্ষী-সহ তাঁর টিম এবং সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে হায়দরাবাদ পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫, ১১৮ (১), ৩ (৫) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৫ ধারার অধীনে রুজু হয়েছে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও। গ্রেফতারও হন অল্লু। সংশোধনাগারে এক রাত কাটানোর পর অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন তিনি।