বেঙ্গালুরুর আত্মঘাতী যুবক অতুল সুভাষ। — ফাইল চিত্র।
স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলায় ক্রমাগত হয়রানির জেরে আত্মঘাতী হয়েছেন বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষ। অভিযোগ এমনটাই। তা নিয়ে দেশজোড়া বিতর্কের মুখে অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়াকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। পাশাপাশি, গ্রেফতার হয়েছেন নিকিতার মা নিশা এবং ভাই অনুরাগও। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এখনও চতুর্থ অভিযুক্ত তথা নিকিতার মামা সুশীলের খোঁজ চলছে। তার মাঝেই এ বার আগাম জামিন পেলেন তিনি।
অতুল-মামলাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হতেই নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। নিকিতাদের উত্তরপ্রদেশ থেকে বেঙ্গালুরুতে তলব করা হয়। উত্তরপ্রদেশেও পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু পুলিশের একটি দল। এর পরেই গ্রেফতারি এড়াতে আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে ইলাহাবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন নিকিতারা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রবিবার গুরুগ্রাম থেকে নিকিতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর মা ও ভাইকে হেফাজতে নেওয়া হয় প্রয়াগরাজ থেকে। পুলিশ অবশ্য নিকিতার মামা সুশীল সিংহানিয়ার খোঁজ পায়নি। তবে সোমবার তিনি আগাম জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
অতুল আত্মহত্যা করার পর থেকেই নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোরে নিজের ঘর থেকে বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত যুবক অতুলের দেহ উদ্ধার হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিদায়ী ভিডিয়ো ছাড়াও ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট রেখে যান অতুল, যার ছত্রে ছত্রে স্ত্রী নিকিতা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের পারিবারিক আদালতে অতুল-নিকিতার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছিল। অতুলের পরিবারের অভিযোগ, মামলা চলাকালীন টাকা আদায় করতে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতা, বধূ নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার মতো নানা গুরুতর অভিযোগে অতুলকে ফাঁসানো হয়। নিকিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন তাঁরা। মামলা রুজু হয় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৮ এবং ৩ (৫) ধারায়। ওই মামলাতেই নিকিতা-সহ তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।