Canara Bank Fraud Case

জেট এয়ারওয়েজ় কর্তা নরেশের বিরুদ্ধে চার্জশিট ইডির, ৫৩৮ কোটির ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগ

কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের সূত্র ধরে এই মামলায় গত সেপ্টেম্বরে জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠানা নরেশ গয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:০৩

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

কানাড়া ব্যাঙ্কের ৫৩৮ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে জেট এয়ারওয়েজ়ের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল-সহ ছ’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে ইডির তরফে ওই চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এই মামলায় গত সেপ্টেম্বরে নরেশকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এখন তিনি মুম্বইয়ের আর্থার রোড জেলে বন্দি।

Advertisement

২০২২ সালের নভেম্বরে নরেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কানাড়া ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। প্রতারণা এবং ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয় নরেশ, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং গৌরাঙ্গ শেট্টি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযোগে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বলেন, জেট এয়ারওয়েজ় (ইন্ডিয়া) লিমিটেডকে (জেআইএল) ৮৪৮.৮৬ কোটি টাকার যে ঋণ মঞ্জুর করা হয়েছিল তার মধ্যে ৫৩৮.৬২ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। ব্যাঙ্কের আরও অভিযোগ ছিল যে, জেট কর্তৃপক্ষ নিজেদের অডিটে দেখিয়েছিলেন যে, তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থাকে সীমার বাইরে গিয়ে ১৪০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছিলেন।

অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম তদন্ত শুরু করেছিল সিবিআই। জেটের বিভিন্ন দফতরের পাশাপাশি নরেশ-সহ অন্য অভিযুক্তদের জেরাও করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে সিবিআই জানায়, জেআইএল-এর নমুনা চুক্তিতে উল্লেখ করা রয়েছে যে জেনারেল সেলিং এজেন্ট (জিএসএ)-দের খরচ তাঁদের নিজেদেরই বহন করতে হবে। তাই জেট কর্তৃপক্ষ জিএসএ-র নামে ৪০৩ কোটি টাকার যে খরচ দেখিয়েছেন, তা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এর পাশাপাশি নরেশ ব্যক্তিগত খরচেও জেটের টাকা ব্যবহার করেছেন বলে সিবিআই এফআইআর-এ অভিযোগ করা হয়। সেই এফআইআরের উপর ভিত্তি করে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের সন্ধানে তদন্ত শুরু করে ইডি। এ বছর মে মাসে নরেশের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে সিবিআই এবং আর্থিক তছরুপের মামলা করা হয় ইডির তরফে।

Advertisement
আরও পড়ুন