Social Media Children

১৮ বছরের কমবয়সিদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারে বড়দের অনুমতি নিতে হবে: কেন্দ্রের আইনের খসড়া

ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার ওই খসড়া প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৪
ছোটদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি আবশ্যিক করতে চায় কেন্দ্র।

ছোটদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের জন্য বাবা-মায়ের অনুমতি আবশ্যিক করতে চায় কেন্দ্র। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

১৮ বছরের কমবয়সিদের সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বড়দের অনুমতি লাগবে। বাবা-মা কিংবা তাঁদের অবর্তমানে অন্য কোনও অভিভাবকের অনুমতিসাপেক্ষে সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে ছোটরা। কেন্দ্রের আইনের খসড়ায় এই প্রস্তাব আনা হয়েছে। শুক্রবার খসড়া প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে নাগরিকদের মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক।

Advertisement

ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন, ২০২৩-এর খসড়ায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের সমাজমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কড়াকড়ির কথা বলা হয়েছে। ছোটদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত করায় জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। বাবা-মায়ের অনুমতিসাপেক্ষে অনূর্ধ্ব ১৮ নাগরিকেরা সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুললে কী সুবিধা হবে এবং অসুবিধাই বা কী কী হতে পারে, সে বিষয়ে জনসাধারণের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারি ওয়েবসাইট (MyGov.in)-এ গিয়ে এ বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন যে কেউ। ১৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে মতামত গৃহীত হবে।

সমাজমাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে বাবা-মায়ের অনুমতি যে নেওয়া হয়েছে, কী ভাবে তা নিশ্চিত করা যাবে? খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এ ক্ষেত্রে সরকারি পরিচয়পত্রের সাহায্য নেওয়া হবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিশুকল্যাণ সংস্থার ক্ষেত্রে কিছু নিয়মে ছাড় দেওয়া হবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়েছে, সমাজমাধ্যমে কারও ব্যক্তিগত তথ্য ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারী সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ওই তথ্য মুছে দেওয়ার দাবি জানাতে পারবেন, চাইতে পারবেন কৈফিয়তও। তথ্য আদানপ্রদানের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে খসড়া আইনে। কোনও ভাবে ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে ২৫০ কোটি টাকা জরিমানার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

সমাজমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত এই নিয়মাবলি প্রযুক্ত হলে তার উপর নজরদারির জন্য একটি তথ্য সুরক্ষা বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তথ্য ফাঁসের ঘটনার তদন্ত করে ওই বোর্ড, নির্ধারণ করবে জরিমানা। আপাতত সাধারণ নাগরিকদের মতামত, সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা হবে। তার পর এই খসড়া আইন সম্পর্কে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

Advertisement
আরও পড়ুন