Madhyamik 2025 Registration

মাধ্যমিকের রেজিস্ট্রেশনের জন্য বরাদ্দ আরও একটা দিন, কী বলছে শিক্ষামহল?

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত মোট ৯,২৮১টি স্কুল অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করেছে।

Advertisement
স্বর্ণালী তালুকদার
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৩
Madhyamik 2025 Registration

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে শেষ বারের মত নাম নথিভুক্তকরণের জন্য পোর্টাল চালু করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ৬ জানুয়ারি সকাল ১১টা থেকে ৭ জানুয়ারি সকাল ১১টা পর্যন্ত ওই পোর্টাল চালু রাখা হবে।

Advertisement

পর্ষদের তরফে আরও বলা হয়েছে, প্রথম দফায় ১৮ ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে ৯,২৮১টি স্কুল। তবে, এখনও পর্যন্ত নাম নথিভুক্ত করতে পারেনি বহু পড়ুয়াই। তাই শেষ বারের মতো এক দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশনের পোর্টাল চালু করেছে পর্ষদ।

তৃতীয় বারের জন্য পোর্টাল চালু করার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা। যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ না হওয়ার পেছনে স্কুলের গাফিলতি তো আছেই। তা ছাড়াও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে এখনও অভিভাবকদের মধ্যেও রেজিস্ট্রেশন তো বটেই, মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়েই গা-ছাড়া ভাব রয়েছে। এ দিকে পর্ষদ বার বার বিজ্ঞপ্তি, নির্দেশিকা দিয়ে সব স্তরের স্কুলকে যথাযথ ভাবে সচেতন করে চলেছে।”

যদিও যোধপুর পার্ক বয়েজ় স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার জানিয়েছেন, অন্যান্য বোর্ডের মতো মধ্যশিক্ষা পর্ষদ যে উন্নত পরিকাঠামোর আওতায় পরীক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়ে আসতে চাইছে, তা রাজ্যে বহু স্কুলের দ্রুত রপ্ত করতে সময় লাগবে এবং সেটাই স্বাভাবিক। তাই পর্ষদ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। প্রধান শিক্ষকের আশা, পর্ষদকে এখন তিন দফায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হলেও আগামী এক-দু’বছরের মধ্যে এই বিষয়টিতে শহরতলি এবং গ্রামের স্কুলগুলিও সড়গড় হয়ে উঠবে।

পর্ষদের তরফে যেমন অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের খুঁটিনাটি শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে, তেমনই প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে বহু স্কুলকে। তাদের দাবি, পোর্টাল সব সময় সক্রিয় থাকছে না। সার্ভার ডাউন থাকার কারণে নাম নথিভুক্তকরণের কাজ দ্রুত শেষ করতে সমস্যা হচ্ছে। হীরাপুর মানিকচাঁদ ঠাকুর ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষিকা নিবেদিতা আচার্য জানিয়েছেন, প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও দ্রুততার সঙ্গে যাতে নাম নথিভুক্ত করে নিতে পারে, তার জন্য পড়ুয়াদের সঙ্গে তো বটেই, অভিভাবকদের জন্যও ডোর-টু-ডোর ক্যাম্পেন করা হয়েছে।

এ ছাড়াও এখন বেশ কিছু সরকারি কিংবা সরকার অনুমোদিত স্কুলে প্রথম প্রজন্মের পড়ুয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। সে ক্ষেত্রে, পড়ুয়ারা যত তাড়াতাড়ি অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে সড়গড় হয়ে উঠতে পারছে, সেই একই বিষয় তাদের অভিভাবকদের বুঝে উঠতে অনেকটাই বেশি সময় লাগছে। যে কারণে দফায় দফায় রেজিস্ট্রেশনের জন্য পোর্টাল চালু করতে হচ্ছে, মত শিক্ষামহলের একাংশের।

Advertisement
আরও পড়ুন