অসমের সেই কয়লা খনি। ছবি: পিটিআই।
অসমের প্লাবিত কয়লাখনি থেকে উদ্ধার এক শ্রমিকের দেহ। তবে এখনও ওই খনির মধ্যে আটকে আরও কয়েক জন। তাঁরা জীবিত, না খনির মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়। উদ্ধারের চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল।
অসমের দিমা হাসাও জেলার প্রত্যন্ত শিল্পশহর উমরাংসোর অবৈধ খনিতে কয়লার খোঁজে নেমেছিলেন শ্রমিকেরা। কিন্তু আচমকাই ওই খনিতে হু-হু করে জল প্রবেশ করতে শুরু করে। তাতেই প্লাবিত হয়ে যায় খনি। সেই খনিতে আটকে পড়েন বেশ কয়েক জন শ্রমিক। উদ্ধারকাজ শুরু হয়। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রথমে উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে উদ্ধারকাজের প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় সেনাবাহিনীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানায় অসম সরকার। সেই মতো উদ্ধারকাজে নামে সেনাও। মঙ্গলবার সকালে খনিমুখে পৌঁছয় অসম রাইফেলসের ‘পাথফাইন্ডার ইউনিট’। খনির মধ্যে নামানো হয় দক্ষ ডুবুরি। বিশাখাপত্তনম থেকে তাঁদের আনা হয়।
জানা গিয়েছে, ২১ প্যারা ডুবুরি বুধবার উমরাংসোরের গভীর খনি থেকে এক জনের দেহ উদ্ধার করেন। বাকিদের সন্ধানে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জল বার করার পাম্প আনা হয়। এ ছাড়াও, ওএনজিসির জল বার করার আধুনিক পাম্প হেলিকপ্টারে চাপিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হচ্ছে বলেও খবর। বুধবার থেকে কোল ইন্ডিয়ার একটি দলকেও উদ্ধারকাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন কয়লামন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি। তবে জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। শেষ পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রেড্ডি জানিয়েছেন, খনিতে জলস্তর ১০০ ফুট উঠে এসেছে। যা খুবই বিপজ্জনক।
সোমবার প্রথমে খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের সংখ্যা প্রায় ২০ জন বলে জানানো হয়েছিল। যদিও পরে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ন’জন শ্রমিকের নামের তালিকা প্রকাশ করেন। ওই তালিকায় রয়েছেন জলপাইগুড়ির এক বাসিন্দাও। তাঁর নাম সঞ্জিত সরকার। এক শ্রমিক নেপালের বাসিন্দা। বাকি সাত জন অসমের।