Delhi Weather

সপ্তাহে তৃতীয় বার ৫ ডিগ্রির নীচে নামল দিল্লির তাপমাত্রা, শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে রাজধানী

গত কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহ চলছে দিল্লিতে। রবিবারও তার অন্যথা হল না। পাশাপাশি রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৯
দিল্লির ভোরের দৃশ্য।

দিল্লির ভোরের দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।

ফের পাঁচ ডিগ্রির নীচে নেমে গেল দিল্লির তাপমাত্রা। ছুটির সকালেও শীতে জবুথবু দেশের রাজধানী! রবিবার ভোরে দেশের রাজধানী নয়াদিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গিয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবির ভোরে নগরীর প্রাথমিক আবহাওয়া কেন্দ্র সফদরজংয়ে তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস!

Advertisement

গত এক সপ্তাহে এই নিয়ে তিন বার ৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গেল তাপমাত্রা। গত কয়েক দিনে তাপমাত্রা এক ধাক্কায় তিন ডিগ্রি নেমে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৪.৫ ডিগ্রি। চলতি মরসুমে এখনও পর্যন্ত সেটিই দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল। এর পর রবিবার ফের ৫ ডিগ্রির নীচে নামল পারদ। সংবাদ সংস্থা পিটিআই আবহাওয়া দফতরকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গত ১৪ বছরের মধ্যে এই প্রথম ডিসেম্বরে এতটা পারদপতন হল দিল্লিতে।

হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই শৈত্যপ্রবাহ চলছে দিল্লিতে। রবিবারও তার অন্যথা হল না। শুধু দিল্লিই নয়, পাশাপাশি রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রাজস্থানের কোনও কোনও অংশে সোমবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। তবে শীত বাড়লেও বাতাসের গুণমানে বিশেষ হেরফের হয়নি। বরং শনিবারের তুলনায় আরও হ্রাস পেয়েছে বাতাসের গুণমান। ঘন ধোঁয়াশায় হ্রাস পেয়েছে দৃশ্যমানতা। শনিবার সকাল ৭টা নাগাদ দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল ২১২। রবিবার একই সময়ে বাতাসের গুণমান ২৪৬-এ এসে ঠেকেছে। আনন্দবিহারে একিউআই ২৯২, আলিপুরে ২৫৬, বাওয়ানায় ২৯৮ এবং বুরারিতে ২৮৮।

অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গেও চিত্রটা খানিক একই রকম। রবিবার কলকাতার তাপমাত্রাও ১২ ডিগ্রির ঘরে নেমে গিয়েছে। পুরুলিয়ায় পারদ নেমেছে ৫.৯ ডিগ্রিতে! ঠান্ডায় উত্তরবঙ্গকেও টেক্কা দিচ্ছে পশ্চিমের জেলাগুলি। পৌষ মাস পড়ার আগে ডিসেম্বরে শেষ কবে কলকাতায় এমন ঠান্ডা পড়েছিল, তা মনে পড়ছে না শহরবাসীর।

Advertisement
আরও পড়ুন