Dark Web

‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করে চলছিল আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্র! পর্দাফাঁস দিল্লি পুলিশের ‘কবচ’ অভিযানে

দিল্লি পুলিশের ‘কবচ’ অভিযানে মাদক পাচারের এক আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিদেশ থেকে মাদকের পার্সেল পাঠানো হত ডাকঘরে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে এই চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৮
‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের কারবার চলছিল দিল্লিতে।

‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের কারবার চলছিল দিল্লিতে। — প্রতীকী চিত্র।

আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সন্ধান পেল দিল্লি পুলিশ। ‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করে মাদক চক্রটি বেআইনি কারবার চালাত। দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখার এক অভিযানে আন্তর্জাতিক ওই মাদক পাচার চক্রের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ছ’কেজি ‘হাইড্রোপনিক’ গাঁজা। যার দাম দুই কোটি টাকারও বেশি। ‘হাইড্রোপনিক’ গাঁজা এক বিশেষ উপায়ে কৃত্রিম পরিবেশে তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে গাঁজা গাছ চাষের জন্য মাটির প্রয়োজন হয় না। এক ধরনের জলের মিশ্রণের মধ্যে এই চাষ করা হয়। জলের মিশ্রণ থেকেই প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে গাছটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পুলিশ জানিয়েছে, এই মাদক পাচার চক্রটি ‘ডার্ক ওয়েব’ ব্যবহার করে ব্যবসা চালাচ্ছিল। লেনদেন করা হত ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। বিদেশ থেকে পার্সেল করে মাদক পাঠানো হত। সম্প্রতি দিল্লিতেকিছু ডাকবিভাগে বিদেশ থেকে এ রকম বেশ কিছু সন্দেহজনক পার্সেল আসে। তা থেকে পাঁচ কেজি ‘হাইড্রোপনিক’ গাঁজা পাওয়া যায়। আমেরিকা থেকে সেগুলি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ভুয়ো ঠিকানা উল্লেখ করা ছিল। সেই সূত্র ধরে তদন্ত চালাতেই এই আন্তর্জাতিক চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। এই মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম আব্দুল মালিক ওরফে পারভেজ় এবং ময়ঙ্ক নায়ার। উভয়েই দিল্লিই বাসিন্দা।

দিল্লিতে সামনেই বিধানসভা ভোট রয়েছে। তার আগে কোথাও মাদক, ‘বিষ’ মদ বা বেআইনি অস্ত্রের কারবার হচ্ছে কি না, সে দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে দিল্লি পুলিশ। ‘অপারেশন কবচ’ নামে এক অভিযান চালাচ্ছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। এমনই একটি অভিযানের সময়ে এই আন্তর্জাতিক মাদক পাচার চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ।

মালিকের বাড়িতে হানা দিয়ে আরও এক কেজির কাছাকাছি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাঁর মোবাইলও। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, নায়ারই এই চক্রের অন্যতম মাথা। তাঁর হয়ে কাজ করতেন মালিক। পুলিশ জানিয়েছে, নায়ার বিবিএ স্নাতক। তাঁদের ওষুধ আমদানি-রফতানির পারিবারিক ব্যবসা ছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে সেই ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ায় মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়েন নায়ার।

Advertisement
আরও পড়ুন