Saline Controversy

প্রসূতি মৃত্যুর পরেও সেই নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে রোগীদের! প্রশ্নের মুখে সরকারি হাসপাতাল

মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামক একটি সংস্থার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৮
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মেদিনীপুর মেডিক্যালে এক প্রসূতির মৃত্যু এবং চার প্রসূতির অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ নামক একটি সংস্থার ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন। বিতর্কের আবহে স্বাস্থ্য দফতর সেই স্যালাইনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরেও তা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল নদিয়ার পলাশিপাড়ার প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে রোগীদের সুরক্ষা নিয়ে।

Advertisement

ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল হক বলেন, ‘‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ওই স্যালাইনের ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরেও কেন তা রোগীদের দেওয়া হল, জানি না। বিষয়টা সোমবার গিয়ে দেখব।’’

রবিবার গোপীনাথপুর এলাকার বাসিন্দা রহিমা খাতুন প্রীতিময়ী গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে ওই নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়া হয়। এর পরেই বিষয়টি নার্সদের কাছে জানতে চান রোগীর আত্মীয়েরা। জবাবে নার্স জানান, চিকিৎসকই ওই স্যালাইন ব্যবহার করতে বলেছিলেন।

পরিবারের দাবি, পরে চিকিৎসকের কাছে বিষয়টি জানতে গেলে তিনি সে কথা অস্বীকার করেন। রোগীর আত্মীয় মৌসুমি খাতুন বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে রোগীকে। এত কিছুর পরেও এদের শিক্ষা নেই। রোগীর যদি কিছু হয়ে যায়, তার দায় কে নেবে? যারা এটা ঘটাল, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করুক স্বাস্থ্য দফতর।’’

জেলা উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পরাশর পোদ্দার বলেন, ‘‘নিষিদ্ধ স্যালাইন ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে বিকল্প স্যালাইনও সরবরাহ করা হয়েছে। এমনটা হওয়া কাঙ্খিত ছিল না। বাকিটা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

Advertisement
আরও পড়ুন