অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ‘সুপার চোর’। বান্টি চোরের এই ঘটনাই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে হিন্দি ছবি ‘বান্টি অউর বাবলি’র। প্রতীকী ছবি।
দেশ পাঁচশোরও বেশি চুরির মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বার বার নাগাল পেলেও ঠিক পুলিশকে ‘বোকা’ বানিয়ে পালিয়ে যেতেন তিনি। তবে এ বার শেষরক্ষা হল না। তাঁর অবস্থান চিহ্নিত করে, গতিবিধির উপর নজরদারি চালিয়ে, ৫০০ কিলোমিটার ধাওয়া করে সেই ‘সুপার চোর’ বান্টিকে উত্তরপ্রদেশের কানপুর থেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
‘সুপার চোরের’ আসল নাম দেবেন্দ্র সিংহ ওরফে ‘বান্টি চোর’। পাঁচশোরও বেশি চুরির মধ্যে বেশ কিছু মামলায় সাজাও হয়েছে তাঁর। ২০১০ সালে চুরির মামলায় ৩ বছর জেল খেটেছেন বান্টি। তার পর জেলে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর নিজেকে শোধরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পুলিশকে। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি। জেল থেকে বেরোনোর পরই ‘বিগ বস্’ রিয়্যালিটি শো-এ অংশ নেন। কিন্তু ওই যে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘স্বভাব যায় না মরলে, অভাব যায় ধুলে’! ফলে ‘বিগ বস্’-এর শো ছেড়ে বেরোনোর পরই আবার নিজের পুরনো ‘ব্যবসা’য় নেমে পড়েছিলেন। আবারও একের পর এক চুরি করতে শুরু করেছিলেন বান্টি।
তবে বান্টির চুরির নির্দিষ্ট কয়েকটি ধরন আছে। যে ধরনগুলি ‘ওয়ে লাকি! লাকি ওয়ে!’ হিন্দি ছবিতে দেখানো হয়েছিল। ওই ছবিতে বান্টির চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভয় দেওল। বান্টির চুরির ধরনগুলি কেমন? পুলিশ সূত্রে খবর, বান্টি বেশির ভাগ চুরি করতেন রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্যে। চুরি করার সময় বাড়ির ভিতরে ঢুকতে স্ক্রু ড্রাইভার কাজে লাগিয়ে দরজা অথবা জানলা অনায়াসে খুলে ফেলতেন।
শুধু তাই-ই নয়, ছোটখাটো অথবা কম দামি জিনিস চুরি করতেন না বান্টি। তাঁর চুরির সামগ্রীর তালিকায় রয়েছে, বিলাসবহুল গাড়ি, সোনার গয়না, বিদেশি ঘড়ি এবং বহুমূল্যবান পুরনো আসবাব। সাধারণ জিনিস চুরি করার ঘোরতর বিরোধী বান্টি। আরও উল্লেখযোগ্য যে, কোনও গাড়ি চুরি করার সময় লক ভাঙতেন না তিনি। গাড়ি চুরি করার জন্য গাড়িমালিকের বাড়ি থেকেই চাবি চুরি করতেন বান্টি। পুলিশ জানিয়েছে, হেঁটে বা সাইকেল নয়, বান্টি চুরি করতে যান গাড়ি চড়ে। অনেক দিন ধরেই তক্কে তক্কে ছিল পুলিশ। অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ‘সুপার চোর’। বান্টি চোরের এই ঘটনাই স্মৃতি উস্কে দিয়েছে হিন্দি ছবি ‘বান্টি অউর বাবলি’র।