Kanwar Yatra

অগণিত কাঁওয়ার যাত্রীর ভিড়, দেহরাদূন-দিল্লি জাতীয় সড়ক আগামী চার দিনের জন্য বন্ধ করা হল

বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গত ২২ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কাঁওয়ার যাত্রা। তীর্থ চলাকালীন পুণ্যার্থীদের সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির তরফে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২৪ ১৩:১১
কাঁওয়ার যাত্রার দৃশ্য।

কাঁওয়ার যাত্রার দৃশ্য। ছবি: পিটিআই।

ক্রমশ বেড়েই চলেছে কাঁওয়ার যাত্রীদের ভিড়। পুণ্যার্থীদের ঢল সামলাতে এ বার ২৯ জুলাই থেকে ২ অগস্ট পর্যন্ত সময়ের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হল দেহরাদূন থেকে দিল্লিগামী ৫৮ নং জাতীয় সড়ক। এমনকি সড়কের দু’ধারের এলাকাও কাঁওয়ার যাত্রীদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সোমবার থেকেই বন্ধ থাকছে দেহরাদূন-দিল্লি হাইওয়ে। ওই রুটের সব যানবাহন আগামী কয়েক দিন কেবল পুলিশের নির্ধারিত পথেই যেতে পারবে। এ ছাড়া পুণ্যার্থীর ঢল নেমেছে হরিদ্বারেও। সেখানে প্রায় দেড় কোটি কাঁওয়ার যাত্রী হর কি পৌড়ী এবং অন্যান্য ঘাট থেকে গঙ্গাজল নিয়ে বিভিন্ন শিবতীর্থের দিকে রওনা দিয়েছেন। তীর্থযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমগ্র এলাকাকে ভাগ করা হয়েছে ১২ টি সুপারজ়োন, ৩৫ টি জ়োন এবং ১৩২ টি সেক্টরে। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যাত্রাপথে পুণ্যার্থীরা যাতে কোনও বাধার সম্মুখীন না হন, সে জন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর প্রতিটি পয়েন্টে বহাল রয়েছে পুলিশবাহিনী।

বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে গত ২২ জুলাই, অর্থাৎ শ্রাবণ মাসের প্রথম সোমবার থেকে শুরু হয়েছে কাঁওয়ার যাত্রা। অবশ্য তার আগে থেকেই পুণ্যার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলির তরফে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছিল। শুরুতে কাঁওয়ার যাত্রার পথের দু’পাশে খাবার এবং মাংসের দোকান নিয়ে জারি করা হয়েছিল নানান বিধি-নিষেধ। উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের ওই নির্দেশিকা নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। দুই রাজ্যের সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কাঁওয়ার যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে যে সব খাবারের দোকান রয়েছে, সেই সব দোকানের বাইরে টাঙানো সাইনবোর্ডে দোকান মালিকের নাম-পরিচয় স্পষ্ট করে লিখতে হবে। ওই বৈষম্যমূলক নির্দেশিকার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও একটি মামলা করেছিলেন। গত শুনানিতে এই মামলায় উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ড সরকারের নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন