Ministry of External Affairs

পাঁচ বছরে বিদেশে মৃত্যু হয়েছে ৬৩৩ ভারতীয় ছাত্রের! এগিয়ে রয়েছে কানাডা, দ্বিতীয় স্থানে যুক্তরাষ্ট্র

এই ৬৩৩ জন ছাত্রের মধ্যে আততায়ীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। কানাডায় এ রকম ৯টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা, সেখানে বিদেশি হামলায় ৬ জন ছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৪ ১৪:০৫

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গত পাঁচ বছরে বিদেশে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬৩৩ জন ভারতীয় ছাত্রের। শুক্রবার লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংহ। রিপোর্ট বলছে, এত সংখ্যক ছাত্রের মৃত্যুর জন্য প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও আরও নানা কারণ দায়ী।

Advertisement

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভারতীয় ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কানাডাতে। গত পাঁচ বছরে সেখানে ১৭২ জন ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। তালিকায় এর পরেই রয়েছে আমেরিকার নাম। সেখানে বিগত পাঁচ বছরে ১০৮টি ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। এ ছাড়াও সূত্র বলছে, এই পাঁচ বছরে ইংল্যান্ডে ৫৮, অস্ট্রেলিয়ায় ৫৭, রাশিয়ায় ৩৭, ইউক্রেনে ১৮, জার্মানিতে ২৪, জর্জিয়া, কিরঘিজস্তান ও সাইপ্রাসে ১২ এবং চিনে ৮ জন ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

কীর্তি আরও বলেন, এত ছাত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও আরও নানা কারণ রয়েছে। এই ৬৩৩ জন ছাত্রের মধ্যে আততায়ীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। কানাডায় এ রকম ৯টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে আমেরিকা, সেখানে বিদেশি হামলায় ৬ জন ছাত্র প্রাণ হারিয়েছেন।

এ ছাড়াও গত তিন বছরে ৪৮ জন ভারতীয় ছাত্রকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। কীর্তি বলছেন, এই নির্বাসনের কারণ সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট সরকারি রিপোর্ট থাকে না। অনুমোদন ছাড়া কর্মসংস্থান, শিক্ষাক্ষেত্রে অনুপস্থিতি, বহিষ্কার— ইত্যাদি নানা কারণে প্রবাসী ছাত্রদের ভিসা বাতিল হয়ে যেতে পারে।

শুক্রবার লোকসভায় কীর্তি বলেছেন, ‘‘ভারত সরকার বিদেশে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। মন্ত্রকের কাছে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে বিদেশে ভারতীয় ছাত্রমৃত্যুর ৬৩৩ টি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কারণ ছাড়াও দুর্ঘটনা, চিকিৎসা, হামলা-সহ বিভিন্ন কারণে ওই মৃত্যু হয়েছে। বিদেশে ভারতীয় ছাত্রদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব ভারত সরকারের। এ জন্য বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠরত ছাত্রদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতে হবে।’’

Advertisement
আরও পড়ুন