দিল্লির মুুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র ।
জেল থেকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব ‘সামলানো’ নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ধৃত অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে বুধবার আরও ‘চাপে’ ফেলল রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। জেলবন্দি কেজরী তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বরাদ্দ সময়ের অপব্যবহার করছেন বলে পর্যবেক্ষণে আদালত জানিয়েছে।
আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শের জন্য বাড়তি সময় চেয়ে কেজরীর তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছিল বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তা খারিজ করে বলেছে, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শের জন্য সময় নিয়ে উনি অন্য কাজ করছেন’। দিল্লির আবগারি মামলায় গত ২১ মার্চ কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পরেই তাঁর গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আপ প্রধান। কিন্তু মঙ্গলবার তাঁর সেই আবেদনও খারিজ হয়ে গিয়েছিল।
বুধবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে আবেদনের শুনানিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী বিবেক জৈন। তিনি আদালতকে জানান, কেজরীওয়ালের বিরুদ্ধে ৩৫ থেকে ৪০টি মামলা চলছে। সেই সব মামলা নিয়ে জেলে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন। তাই যেন সপ্তাহে পাঁচ দিন আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সপ্তাহে আইনজীবীদের সঙ্গে দু’বার সাক্ষাতে যে তিনি শুধুমাত্র বকেয়া মামলাগুলি নিয়েই পরামর্শ করছেন, সেই বক্তব্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বিচারককে সন্তুষ্ট করতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, আদালতের নির্দেশে পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবী ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি নেই কেজরীর। কিন্তু তার পরেও তিনি কী ভাবে দিল্লি সরকার পরিচালনা নিয়ে বন্দি অবস্থা থেকে একাধিক নির্দেশ দিলেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আদালতের বুধবারের নির্দেশ আম আদমি পার্টি (আপ)-র প্রধানের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্টেও কেজরীর অন্য একটি আবেদন নাকচ হয়ে যায়। দিল্লি হাই কোর্টের মঙ্গলবারের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেজরীর আবেদন বুধবার শুনানির জন্য তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ দ্রুত শুনানির আবেদন খারিজ করে দেয়। ওই নির্দেশে দিল্লি হাই কোর্ট জানিয়েছিল, আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরীর গ্রেফতারি বেআইনি নয়। তাঁকে আপাতত জেলেই থাকতে হবে বলেও জানিয়েছিল দিল্লি হাই কোর্ট।