Cyclone Fengal Update

রাতভর বৃষ্টি, ঝড়ের তাণ্ডব চেন্নাই, পুদুচেরিতে! রবি সকালে গভীর নিম্নচাপ হয়ে গেল ‘ফেনজল’, মৃত তিন

শনিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ু উপকূল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ‘ফেনজল’। গভীর রাত পর্যন্ত ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া চলেছে। চেন্নাইতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৭:৫৮
পুদুচেরিতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজলের’ তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়েছে।

পুদুচেরিতে ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজলের’ তাণ্ডবে গাছ ভেঙে পড়েছে। ছবি: পিটিআই।

উত্তর তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে শনিবার রাতভর তাণ্ডব চালাল ঘূর্ণিঝড় ‘ফেনজল’। রবিবার সকালে শক্তি হারিয়ে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এখন তা অবস্থান করছে পুদুচেরির কাছেই। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে আরও শক্তিক্ষয় করে এই গভীর নিম্নচাপ সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে, জানিয়েছে মৌসম ভবন। এর প্রভাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত দক্ষিণ ভারতের একাধিক রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

শনিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর থেকে তামিলনাড়ুর উপকূল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছে ‘ফেনজল’। গভীর রাত পর্যন্ত ‘ল্যান্ডফল’ বা আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া চলেছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, রাত আড়াইটে পর্যন্ত ‘ফেনজল’ তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির উপর দিয়ে সাত কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে এগিয়েছে। তার অভিমুখ ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে। ভোর সাড়ে ৫টার মধ্যে শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। এর প্রভাবে তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। চেন্নাইয়ে ‘ফেনজল’-এর কারণে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তাঁদের মধ্যে এক জন পরিযায়ী শ্রমিক। তিনি রাতে ঝড়ের সময়ে এটিএম থেকে টাকা তুলতে গিয়েছিলেন বলে খবর। সেই সময়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

ঝড়ের কারণে রবিবার ভোর পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর বন্ধ রাখা হয়েছিল। ভোর ৪টের পর আবার বিমান ওঠানামা শুরু হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার সকালে জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর বন্ধ থাকবে। কিন্তু সন্ধ্যায় ঝড়ের দাপট বেশি থাকায় পরিষেবা চালু করা যায়নি। বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ের বিমানবন্দরের একাংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বাতিল করা হয়েছে অনেক বিমান। এর ফলে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। চেন্নাইগামী কিছু বিমান অন্য শহরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক করা যাবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

উপকূল সংলগ্ন চেন্নাইয়ের বিস্তীর্ণ অংশ জলমগ্ন। পুদুচেরিতেও ডুবে গিয়েছে নিচু এলাকা। অনেক স্কুল এবং হাসপাতালও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। ঝড়ের কথা মাথায় রেখে আগেই তামিলনাড়ু সরকার পদক্ষেপ করেছিল। স্কুল-কলেজ-অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল শনিবার। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিয়েছিল সরকার।

উপকূল সংলগ্ন এলাকা থেকে শনিবারই বহু মানুষকে সরিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে একাধিক ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে। ‘ফেনজল’ দুর্বল হলেও এখনই বৃষ্টি থামছে না চেন্নাইতে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, দক্ষিণ কর্নাটক এবং কেরলে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলতে পারে। অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রবিবার।

Advertisement
আরও পড়ুন