ordinance

দিল্লির রাশ হাতে রাখার কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশ নিয়ে কেজরীর দলকে সমর্থনের বার্তা কংগ্রেসের

বিজেপির দাবি, অরবিন্দ কেজরীওয়াল সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করার জন্যই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করেছে কেন্দ্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২৩ ২১:২৪
Congress to back AAP against the ordinance of Narendra Modi government on Delhi officers

কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্স নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরীওয়ালের পাশে দাঁড়াতে পারে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস। ফাইল চিত্র।

দিল্লির ‘ক্ষমতা দখলের’ জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিতর্কিত অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) নিয়ে এ বার আম আদমি পার্টি (আপ)-র পাশে দাঁড়াতে চলেছে কংগ্রেস। এআইসিসির একটি সূত্র উদ্ধৃত করে এনডিটিভি প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে আপ সাংসদদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেরা। কার্যক্ষেত্রে তা দেখা গেলে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী ঐক্য নতুন মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখতে শুক্রবার গভীর রাতে ওই বিতর্কিত অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল মোদী সরকার। শনিবার থেকেই বিষয়টি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল বিষয়টি নিয়ে সরাসরি নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তাঁর অভিযোগ, ওই অধ্যাদেশ পুরোপুরি অসাংবিধানিক। তিনি বলেছেন, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে জনসেবামূলক কাজের ক্ষমতা চলে যাওয়ায় ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই তা আটকাতে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।’’

Advertisement

গত ১১ মে সুপ্রিম প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, আমলাদের রদবদল থেকে যাবতীয় প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের। কিন্তু শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ অর্ডিন্যান্স এনে ১০ পাতার গেজ়েট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কেন্দ্র। তাতে বলা হয়, জাতীয় রাজধানী সিভিল সার্ভিসেস কর্তৃপক্ষ গঠন করা হচ্ছে। আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। (দিল্লির) মুখ্যমন্ত্রী হবেন এর চেয়ারপার্সন। কিন্তু কমিশনে কেন্দ্র এবং লেফটেন্যান্ট গভর্নরের প্রতিনিধি সংখ্যা বেশি থাকায় তাঁরাই কার্যত ‘নির্ণায়ক’ হবেন আমলাদের বদলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে।

আরও পড়ুন
Advertisement