No Confidence Motion

মোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা বিতর্কের সূচনা কি রাহুল গান্ধীই করবেন? মঙ্গলে ‘লড়াই’ শুরু লোকসভায়

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা শুরু হবে লোকসভায়। বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৪৫
Congress MP Rahul Gandhi to speak on no-confidence motion in Lok Sabha

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। — ফাইল চিত্র।

স্পিকার ওম বিড়লার নির্দেশে সোমবার সাংসদপদ ফিরে পেয়েই বাদল অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মঙ্গলবার দেখা যাবে লোকসভায় বক্তৃতা করতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কে অংশ নেবেন তিনি। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিরোধীদের তরফে অনাস্থা বিতর্কের সূচনা করবেন কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদপদে প্রত্যাবর্তন করা রাহুল। সে ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে ‘মোদী বনাম রাহুল’ লড়াই নতুন মাত্রা পাবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছে।

Advertisement

গত শুক্রবার (৪ অগস্ট) বিচারপতি আরএস গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মোদী পদবি অবমাননা মামলায় গুজরাতের সুরাত আদালতের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। গত ২৩ মার্চ ওই মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হরিশ বর্মা দু’বছরের জেলের সাজা দিয়েছিলেন। এর পর জেলা দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্ট সেই রায় বহাল রেখেছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ায় রাহুলের সাংসদপদ ফিরে পাওয়া নিশ্চিত হয়।

গত ২৬ জুলাই ‘ইন্ডিয়া’র তরফে মোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে নোটিস জমা দিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ। সেই সঙ্গে তেলঙ্গানার শাসকদল বিআরএসের হয়ে পৃথক ভাবে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস জমা দিয়েছিলেন লোকসভার সাংসদ নামা নাগেশ্বর রাও। গত মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানালেন, সেই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে মঙ্গলবার (৮ অগস্ট) আলোচনা শুরু হবে সংসদে। ১০ অগস্ট অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

সংসদীয় বিধি অনুযায়ী লোকসভার স্পিকার অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিস গ্রহণ করার ১০ দিনের মধ্যেই তা নিয়ে সংসদে বিতর্কের সূচনা হওয়ার কথা। এ বিষয়ে দিন নির্ধারণের ক্ষমতা একমাত্র স্পিকারের। সেই বিধি মেনেই ২৬ জুলাই জমা পড়া অনাস্থা নোটিসের ভিত্তিতে মঙ্গলবার লোকসভার স্পিকার ওই সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাচক্রে, সংসদের চলতি বাদল অধিবেশন শেষ হচ্ছে ১০ অগস্ট। বিরোধীরা ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে, বাদল অধিবেশনের শেষ তিনটি দিনই কেন বরাদ্দ হল অনাস্থা নিয়ে বিতর্কের জন্য?

ইতিহাস বলছে, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই নিয়ে ২৮তম অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে সংসদে আলোচনা হতে চলেছে। অতীতে দেশের তিন প্রধানমন্ত্রী, মোরারজি দেশাই, ভিপি সিংহ এবং অটলবিহারী বাজপেয়ী বিরোধীদের আনা এমন অনাস্থা প্রস্তাবেই গদি হারিয়েছিলেন। ১৯৬৩ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা প্রস্তাবটি এনেছিলেন জেবি কৃপালণী। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও মোদী সরকারের পতনের বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। কারণ, ৫৪৩ সাংসদের লোকসভায় সরকারের পতন ঘটানোর জন্য প্রয়োজন ২৭২ সাংসদের সমর্থন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সাংসদ সংখ্যা ৩৩২।

আরও পড়ুন
Advertisement