West Bengal Panchayat Election 2023

‘বাগযুদ্ধে’ অজয়-অনীত

হামরো পার্টির তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে জোর করে ভোটের ফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগও তোলা হয়েছে।

Advertisement
কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৩ ০৭:১২
অজয় এডওয়ার্ড (বাঁ দিকে), অনীত থাপা (ডান দিকে)।

অজয় এডওয়ার্ড (বাঁ দিকে), অনীত থাপা (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

দার্জিলিং ও কালিম্পঙে পঞ্চায়েত ভোট যত এগোচ্ছে, ততই শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা বাড়ছে। পাহাড়ের শাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগও জমা পড়ছে নির্বাচন কমিশন ও জেলা প্রশাসনের কাছে৷ বিশেষ করে অনীত থাপার সঙ্গে অজয় এডওয়ার্ডের ‘বাগ্‌যুদ্ধ’ চলছেই। কমিশন সূত্রের খবর, গত ২১ জুন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড দার্জিলিঙের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমকে দলের তরফে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, পাহাড়ের গ্রামে গ্রামে শাসক দলকে ভোট দিয়ে মোবাইলে ছবি দেখাতে পারলেই টাকা বা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার দাবি করেছেন অজয়।

হামরো পার্টির তরফে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহকে গোটা বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে জোর করে ভোটের ফলকে প্রভাবিত করার চেষ্টার অভিযোগও তোলা হয়েছে। হামরো পার্টির সভাপতি অজয় বলেন, ‘‘নানা প্রক্রিয়ায় পাহাড়ে ক্ষমতা, টাকার খেলা হচ্ছে। প্রার্থীদের ভয় প্রলোভন বাদে সমাজ দিয়ে চাপ দিয়ে প্রত্যাহার করানো হয়েছে। এ বারভোটের ফোটো দিলেই টাকা বা জিনিস মিলবে বলা হচ্ছে।’’

Advertisement

কমিশন বা জেলা প্রশাসনের তরফে এই নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে অভিযোগের তির যাঁদের দিকে সেই প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার তরফে অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দলের সভাপতি তথা জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে পঞ্চায়েত ভোটটা আমরাই দুই দশক পরে ফেরালাম। পাহাড়বাসী তা দেখছেন। তাই ভোট কোন দিকে যাবে তা বিরোধীরা বুঝতে পারছেন। আর তা বুঝেই নানা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

দলীয় সূত্রের খবর, গত শনিবার দার্জিলিঙের দলের পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন হামরো পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে অজয় দাবি করেন, শিক্ষা থেকে পরিকাঠামো সব স্তরেই পাহাড়ে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে। ‘স্বজনপোষণের’ খেলাও চলছে। সরকারি ‘সাহায্যে’ শাসক দলের তরফে বিভিন্ন এলাকা দখলের রাজনীতি চলছে। একই ভাবে পুরসভা ভোটে হেরে দল ভাঙানো হয়েছে। এ বার পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার মধ্যে গোটা পাহাড়ের দখল নিয়ে নিজেদের মতো করে চলার চেষ্টা হচ্ছে। সেখানে গণতন্ত্র হারিয়ে যেতে বসেছে।

যা শুনে অনীতের কটাক্ষ, ‘‘উনি কিসের গণতন্ত্র হরণের কথা বলেন। পাহাড়ে কোথাও সমস্যা হয়েছে, মারপিট গোলমাল হয়েছে, কিছুই হয়নি। আমরা করতেও দেব না। উনি বরং নিজের দলের গণতন্ত্রকে বাঁচান। তা হলে দলটা আর ভাঙবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement