কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং ১২ তুঘলক লেনের সেই বাংলো। — ফাইল চিত্র।
গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়ের পরেই মালপত্র সরানো শুরু করেছিলেন। ২০ এপ্রিল সুরাতের দায়রা আদালত ‘মোদী’ পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে সাজা বহাল রাখার পরেই সাংসদ হিসাবে পাওয়া দিল্লির বাংলো ছেড়ে দিয়েছিলেন বরখাস্ত সাংসদ রাহুল গান্ধী।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট সেই সাজায় স্থগিতাদেশ দেওয়ার পরে লোকসভায় স্পিকার ওম বিড়লা ওয়েনাড়ের সাংসদকে তাঁর পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন। আর সেই সঙ্গেই ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সেই সরকারি বাংলোর ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা। যদিও রাহুল সোমবার বাংলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘‘মায়ের সঙ্গে তাঁর বাংলোয় থাকতে আমার অসুবিধা হচ্ছে না। এটাও চাইলে ছিনিয়ে নিতে পারে (মোদী সরকার)। আমি জানি, ভারতের মানুষ আমাকে মাথা গোঁজার ঠাঁই দেবেন।’’
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধীর ঠিকানা ছিল ল্যুটিয়েন্স দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো। ২২ এপ্রিল সেই বাংলো ছেড়ে দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ। আপাতত মা সনিয়ার জন্য বরাদ্দ ১০ জনপথের সরকারি বাংলোই তাঁর ঠিকানা। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলীর সাংসদ হিসাবে ওই বাংলোটি বরাদ্দ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়ার জন্য। লোকসভার হাউজ়িং কমিটি ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাংলো ছাড়ার সময়সীমা দিয়েছিল চার বারের সাংসদ রাহুলকে। লোকসভার সচিবালয়ের উপসচিব মোহিত রজন চিঠি পাঠিয়ে সে কথা জানিয়েছিলেন বরখাস্ত সাংসদকে। তা মেনেই নির্দিষ্ট সময়ে বাংলো ছেড়ে দেন তিনি।
রাহুলের আগে তাঁর বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও লোদী এস্টেটের সরকারি বাংলো থেকে উৎখাত করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। তিনি এখন বেসরকারি আবাসনে থাকেন। রাহুল ভারত জোড়ো যাত্রায় বলেছিলেন, ৫২ বছর বয়স হয়ে গেলেও তাঁর নিজস্ব বাড়ি নেই। কংগ্রেস সূত্রের খবর, দিল্লির প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ, তাঁর নিজের একটি বাড়ি রাহুলকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ‘জেড প্লাস’ নিরাপত্তা পাওয়া রাহুলের উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছিলেন তাঁর নিরাপত্তা অধিকারিকেরা। এই পরিস্থিতিতে সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় সেই সমস্যা মিটল বলেই মনে করা হচ্ছে। ১২ তুঘলক লেনের বাংলোটি এখনও কাউকে বরাদ্দ করেনি লোকসভা সচিবালয়। সেই বাংলোই এ বার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে।