Congress & TMC

মঙ্গলে ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক, সোমে ডেরেকের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে ধনখড়কে চিঠি কংগ্রেসের খড়্গের

সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের ডেরেকের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭
Congress MP Mallikarjun Kharge’s letter to Rajyasabha Chairman Jagdeep Dhankhar seeking withdrawal of TMC MP Derek O Brien’s suspension

(বাঁ দিক থেকে) ডেরেক ও’ব্রায়েন, জগদীপ ধনখড়, মল্লিকার্জুন খড়গে। —ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার রাজধানীতে ফের বসছে বিজেপি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠক। তার একদিন আগে সোমবার সংসদের অধিবেশনের শুরুতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের শাস্তি প্রত্যাহার চেয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিলেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। যিনি আবার বর্তমানে এআইসিসির সভাপতিও বটে। ধনখড়কে পাঠানো চিঠিতে সংসদে হানার ঘটনার কথা উল্লেখ করে ডেরেকের তোলা দাবিকে যুক্তিযুক্ত বলেছেন খড়্গে। শুধু ডেরেককে সমর্থনই নয়, চলতি অধিবেশনে বেশ কয়েক বার পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েই নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করেছে কংগ্রেস-তৃণমূল। ঘটনাচক্রে, রবিবার রাতেই কলকাতা থেকে দিল্লি গিয়েছেন তৃণমূল সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার সকালের এই ঘটনাকে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস-তৃণমূলের ফের কাছাকাছি আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

Advertisement

গত সপ্তাহে বুধবার সংসদে জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে নতুন সংসদ ভবনে হানা দেয় কয়েক জন যুবক-যুবতী। সেই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়ে সংসদের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেন বিরোধী দলের সাংসদেরা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-সহ অন্য দলের সাংসদেরা। তিনি ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখালে তাঁকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ধনখড়। ডেরেকর সঙ্গেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন আরও ১৪ জন সাংসদ। সাসপেন্ড হওয়ার পর শুক্রবার ডেরেক সংসদ চত্বরে ধর্না দিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন তখন তাঁকে সমর্থন জানলে এসেছিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। এই ইস্যুতে যে কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের পাশেই থাকবে, সেই বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছিল বেনুগোপালের উপস্থিতিতে। কারণ, এআইসিসির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেনুগোপাল বরাবরই রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাই শুক্রবারে বেনুগোপালের উপস্থিতি এবং সোমবার এআইসিসির সভাপতির সরাসরি ডেরেকের পক্ষ নিয়ে ধনখড়কে চিঠি দেওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্কে নতুন করে জোটের সমীকরণের চিত্রই ধরা পড়েছে বলে মনে করছে জাতীয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশ।

শুধু তা-ই নয়, মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের সময়ও কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী সরাসরি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আবার সাংসদপদ খারিজ হয়ে যাওয়ার পর রাহুল-সনিয়া গান্ধী-সহ গোটা কংগ্রেস সংসদীয় দল মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। গত দু’সপ্তাহ যাবৎ সংসদে কংগ্রেস এবং তৃণমূল সংসদীয় দলের মধ্যে ঐক্যের চিত্রই ধরা পড়েছে। তাই মঙ্গলবার বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকের আগে এই কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের কাছাকাছি আসাকে ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, মঙ্গলবার জোটের বৈঠকে যোগদান করবেন রাহুল ও মমতা। তাই দুই শিবিরের সেনাপতিদের একসঙ্গে বৈঠকে বসার আগের মঞ্চ সংসদ অধিবেশন তৈরি করে দিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন