লোকসভায় অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
বুধবার লোকসভায় অনাস্থা-বিতর্কে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তৃতার মধ্যেই একটি মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। দ্রুত তার জবাবে খোঁচা দিয়ে শাহ বলেন, ‘‘আপনাকে আমি আমার বলার সময় থেকে ৩০ মিনিট দেব। যাতে আপনি বলতে পারেন। কিন্তু আপাতত বসে যান।’’
এর পরেই অধীরকে নিশানা করে শাহের মন্তব্য, ‘‘আমি বুঝতে পারছি, আপনার দল আপনাকে বলতে দেয়নি বলেই আপনি এ ভাবে কথার মাঝে কথা বলছেন।’’ বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল, দলের শেষ বক্তা হিসাবে অনাস্থা-বিতর্কে অংশ নেবেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৪০ নাগাদ লোকসভায় অধীর বক্তৃতা শুরু করেন। প্রথমে তাঁর নাম বক্তাদের তালিকায় না থাকলেও তৃতীয় তথা শেষ দিনের বিতর্ক শুরুর আগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংসদীয় প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির আগে জবাবি বক্তৃতা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাঁর আগে শোনা যাচ্ছে অধীরের বক্তৃতা। অধীরের বক্তৃতার মাঝেই সংসদে হাজির হন মোদী।
অধীরের বক্তৃতার মাঝে মোদীর উপস্থিতির নেপথ্যে দু’টি উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে রাজনৈতিক কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। প্রথমত, রাহুলের বুধবারের বক্তৃতায় অনুপস্থিতি এবং অধীরের ক্ষেত্রে উপস্থিতির মাধ্যমে ওয়েনাড়ের সাংসদকে রাজনৈতিক ভাবে ‘গুরুত্বহীন’ দেখানোর চেষ্টা। দ্বিতীয়ত, অধীরকে ‘কংগ্রেসের আসল নেতা’ বলে তুলে ধরে ‘ইন্ডিয়া’ জোটে কংগ্রেস-তৃণমূলে ফাটল ধরানোর পরিকল্পনা।