হাতে সংবিধান নিয়ে শপথগ্রহণ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার। বৃহস্পতিবার সংসদে। ছবি: পিটিআই।
সাংসদ হিসাবে প্রথম বার সংসদে পা রাখলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। সঙ্গী হলেন দাদা তথা রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং মা তথা রাজস্থান থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভার সাংসদ সনিয়া গান্ধী। সকাল ১১টা নাগাদ ওয়েনাড় কেন্দ্রের নির্বাচিত সাংসদ হিসাবে শপথ নেন প্রিয়ঙ্কা। ডান হাতে লাল-কালো মলাটের সংবিধান তুলে ধরে শপথগ্রহণ করেন তিনি। তার পর লোকসভার অন্য সাংসদ এবং আধিকারিকদের সঙ্গে নমস্কার বিনিময় করতে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কাকে।
বৃহস্পতিবার সকালেই কংগ্রেস সাংসদদের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন নবনির্বাচিত সাংসদ প্রিয়ঙ্কা। প্রিয়ঙ্কা লোকসভায় আসছেন, এই খবর পেয়ে সংসদ চত্বরে হাজির হন অন্য কংগ্রেস সাংসদেরা। ‘প্রিয়ঙ্কা স্বাগতম’ স্লোগান ওঠে। গাড়ি থেকে নেমে প্রিয়ঙ্কা জানান, তিনি ভীষণ খুশি। তার পরেই দাদা রাহুল এবং মা সনিয়ার সঙ্গে সংসদের ভিতরে প্রবেশ করেন তিনি।
শপথগ্রহণের পর লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলকে নমস্কার করেন প্রিয়ঙ্কা। হাসিমুখে প্রতি-নমস্কার করতে দেখা যায় একদম সামনের সারিতে বসা রাহুলকেও। প্রসঙ্গত, সংবিধান হাতে শপথ নিয়ে দাদা রাহুলের পদাঙ্কই অনুসরণ করলেন প্রিয়ঙ্কা। পাঁচ মাস আগে লাল-কালো মলাটের সংবিধান হাতেই শপথ নিয়েছিলেন রাহুল।
২০০৪ সালের লোকসভা ভোট থেকে নিয়মিত সনিয়া-রাহুলের প্রচারে অংশ নিলেও প্রিয়ঙ্কা আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে আসেন ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং কেরলের ওয়েনাড়, দুই আসন থেকেই জয়ী হওয়ায় দ্বিতীয় আসনটি ছেড়ে দেন রাহুল। আর দাদার ছেড়ে দেওয়া আসনে কংগ্রেস প্রার্থী হন প্রিয়ঙ্কা। ভোটের ফল বলছে, ৪ লক্ষ ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআই প্রার্থীকে হারিয়ে দাদার জয়ের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন বোন প্রিয়ঙ্কা।