Priyanka Gandhi

‘৩০ বছর সংসার সামলাচ্ছি, অন্যদের চেয়ে গলার জোর বেশি’, তাঁকে নির্বাচিত করার কারণ জানালেন প্রিয়ঙ্কা

আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৯:৪৪
Priyanka Gandhi

ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ছবি: পিটিআই।

৩০ বছর তিনি সংসার সামলাচ্ছেন। ‘গৃহবধূ’ বলে তাঁর গলার জোরও বেশি। তাই মানুষের অধিকার এবং প্রয়োজনের কথা জোরের সঙ্গে বলতে পারবেন। কেরলের ওয়েনাড়ে ভোটপ্রচারে গিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। মঙ্গলবার প্রিয়ঙ্কা প্রচারের জন্য গিয়েছিলেন ওয়েনাড়ের চুঙ্গাথ্রায়। সেখানে জনসভা থেকে প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘‘৩০ বছর ধরে আমি ঘরকন্না সামলাচ্ছি। তাই আমার গলার জোর অনেক বেশি। আমার স্বামীও আপনাদের বলে দেবেন।’’ কংগ্রেস প্রার্থীর সংযোজন, ‘‘আপনারা যদি নিজেদের জন্য এক জন যোদ্ধা চান এবং আমাকে যদি সমর্থন করেন, পাশে থাকেন, তবে আমায় সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত করুন। হলফ করে বলছি, আপনাদের নিরাশ করব না।’’

Advertisement

জীবনের প্রথম বার নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে প্রিয়ঙ্কা অভিযোগ করেছেন, মোদী জমানায় দেশের নানা সম্প্রদায়ের মধ্যে ভেদাভেদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মধ্যে ভয়, হিংসা এবং ঘৃণার বীজ বপন করেছে। রাজনীতির ময়দানে নেমে যখন আপনি এক সম্প্রদায়কে আর একটির সঙ্গে লড়িয়ে দেন, সেই আবেগ থেকে লাভবান হয় কেউ কেউ।’’ হিন্দু, মুসলমান, খ্রিস্টান সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে একসঙ্গে মিলেমিশে থাকার বার্তা দিয়ে ওয়েনাড়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের ভূমিকারও সমালোচনা করেন সনিয়া-কন্যা। তিনি বলেন, ‘‘ওয়েনাড়ে ভয়ঙ্কর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের অবস্থা দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী এসেছিলেন। কিন্তু তিনি পরিদর্শনের পর মাসের পর মাস কেটে গিয়েছে। তাঁর এক বারও মনে হয়নি যে এতগুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাথার উপরে ছাদ নেই। তাঁদের দিকে সেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’’

আগামী ১৩ নভেম্বর ওয়েনাড় লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত লোকসভা ভোটে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলী এবং ওয়েনাড়, দুই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রাহুল গান্ধী। দু’টি কেন্দ্রে থেকেই তিনি জয়ী হন। পরে রায়বরেলী আসনটি রেখে ওয়েনাড় কেন্দ্রটি ছেড়ে দেন রাহুল। তাই ওয়েনাড়ে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। দাদা রাহুলের স্থানে এ বার সেখানে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন বোন প্রিয়ঙ্কা। ওয়েনাড়ে প্রিয়ঙ্কার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হচ্ছে প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআইয়ের রাজ্য সহ-সম্পাদক সত্যেন মোকেরিকে। তা ছাড়া বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নব্যা হরিদাসও রয়েছেন লড়াইয়ে। নব্যা কোঝিকোড় পুরসভার ভোটে দু’বার জয়ী হয়েছেন। প্রিয়ঙ্কা যদি ওয়েনাড় কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন, তবে প্রথম বারের জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি হবেন। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রিয়ঙ্কা ওয়েনাড়বাসীর উদ্দেশে কয়েক দিন আগে লেখেন, “এই সফরে আপনারাই আমার পথপ্রদর্শক এবং শিক্ষক।” ওয়েনাড়ের প্রাক্তন সাংসদ তথা দাদা রাহুলের কাছ থেকে কেন্দ্রটি সম্পর্কে তিনি অনেক কিছু জেনেছেন বলেও উল্লেখ করেছেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি আরও জানান, মহিলারা তাঁর কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাবে।

আরও পড়ুন
Advertisement