Parliament Security Breach

পিস্তল, পেপার স্প্রের পরে এ বার লোকসভা দেখল রং বোমা! দুই হানাদার কী ছুড়লেন সাংসদদের দিকে?

‘স্মোক ক্যান’ বা ‘স্মোক ক্র্যাকার’ নামে পরিচিত এই রং বোমা খোলাবাজারেই কেনা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে সঙ্কেত পাঠানো থেকে খেলার ময়দানে জয় উদ্‌যাপন পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫২

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

জুতোর মধ্যে লুকিয়ে রাখা ইঞ্চি পাঁচেক লম্বা হলুদ রঙের প্লাস্টিকের পাইপের আকৃতির দু’মুখ বন্ধ খোল (ইংরেজিতে যার নাম ক্যানিস্টার)। ভিতরে ভরা রঙের গুঁড়ো। ছিপি খুলে ছুড়ে মারলেই যার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে সবজেটে হলুদ ধোঁয়া। বুধবার দুপুরে দুই হানাদারের এই অস্ত্রই লোকসভায় ফিরিয়ে আনল ২২ বছর আগেকার জঙ্গিহানার স্মৃতি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ‘স্মোক ক্যান’ বা ‘স্মোক ক্র্যাকার’ নামে পরিচিত এই রং বোমা দেশে খোলাবাজারেই কেনা যায়। যুদ্ধক্ষেত্রে সঙ্কেত পাঠানো থেকে খেলার ময়দানে জয় উদ্‌যাপন পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে প্রিয় দলের রঙের ‘স্মোক ক্র্যাকার’ ব্যবহারের রেওয়াজ রয়েছে। তবে সাধারণ ভাবে সেনাবাহিনী যুদ্ধক্ষেত্রে অবস্থান গোপন করতে যে ‘স্মোক বম্ব’ বা ‘স্মোক সেল’ ব্যবহার করে তার মতো ঘন ধোঁয়া হয় না বুধবার দুই হানাদারের ব্যবহৃত ‘অস্ত্রে’।

লোকসভার অন্দরে ‘অস্ত্রের ব্যবহার’ অবশ্য এই প্রথম বার নয়। ৯০-এর দশকে পিস্তল হাতে অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েছিলেন বিহারের সাংসদ আনন্দমোহন সিংহ। গুলি না-চালালেও পিস্তল উঁচিয়ে দেখিয়েছিলেন তিনি। যার জেরে কক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তাঁকে। প্রাক্তন সাংসদ লাভলি সিংহের স্বামী আনন্দমোহনের বিরুদ্ধে অবশ্য একাধিক অপরাধের অভিযোগ ছিল। বিহারের গোপালগঞ্জের জেলাশাসককে খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রায় আড়াই দশক জেল খাটার পরে চলতি বছরেই মুক্তি পেয়েছেন তিনি।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকার লোকসভায় অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে পৃথক তেলঙ্গানা রাজ্য গঠনের বিল পেশের সময় প্রবল অশান্তি হয়েছিল লোকসভায়। সে সময় তেলঙ্গানা বিলের বিরোধী কংগ্রেস সাংসদ লাকড়াপতি রাজাগোপাল পেপার-স্প্রে প্রয়োগ করেছিলেন। লোকসভার ইতিহাসে ‘মরিচ কাণ্ড’ বলে পরিচিতি পেয়েছিল সেই ঘটনা। চোখে প্রবল জ্বলুনির কারণে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছিল তিন সাংসদকে। বিজয়ওয়াড়ার সাংসদ রাজাগোপাল অবশ্য তাঁকে বহিষ্কারের সুযোগ না দিয়েই ইস্তফা দিয়েছিলেন লোকসভা থেকে।

Advertisement
আরও পড়ুন