ছবি: পিটিআই।
লোকসভার অধিবেশনস্থলে দুই ব্যক্তির হানা এবং নজিরবিহীন ‘বিক্ষোভ’ ঘিরে আবার প্রশ্ন উঠল সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে। কী ভাবে, মার্শালদের নজরদারি এড়িয়ে দুই ব্যক্তি বিনা বাধায় দর্শক আসন থেকে সাংসদ গ্যালারিতে ঝাঁপ দিলেন, কী ভাবে গ্যাস ভরা রং-বোমা নিয়ে নিরাপত্তা বেড়াজাল টপকে অধিবেশন কক্ষে ঢুকতে পারলেন, সে প্রশ্নও উঠে এসেছে।
নয়া সংসদ ভবন উদ্বোধনের সাত মাসের মাথায় এই নজিরবিহীন ‘হানা’র পরেই তৎপর হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বুধবার বিকেল ৪টের সময় সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা হল সর্বদল বৈঠক। ঘটনাচক্রে, বুধবারই ছিল সংসদে জঙ্গিহানার ২২ বছর পূর্তির দিন। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বরে সংসদ ভবনে ওই সন্ত্রাসে নিহতদের প্রতি সকালে শ্রদ্ধার্ঘ্যও নিবেদন করা হয়েছিল সংসদ ভবনে।
প্রসঙ্গত, বুধবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছিল। সভা চলাকালীন বেলা ১টার পরে আচমকা উপর দিকের দর্শকের গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন দুই যুবক। তাঁদের দেখে হুলস্থুল পড়ে যায় সভায়। তাঁরা হলুদ রঙের ধোঁয়া সভায় ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে ধোঁয়া ছড়াতে থাকেন হানাদারেরা। সঙ্গে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে দুই সাংসদের তৎপরতায় তাঁরা ধরা পড়ে যান। তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা যখন দুই যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘দু’জন গ্যালারি থেকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের হাতে কিছু ছিল। হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছিল তা থেকে। আমাদের সাংসদেরাই তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা হানাদারদের ধরে বার করে আনেন।’’