Maharashtra Bureaucrat’s son Assault

‘মদ খেয়ে হোটেলে এসেছিল’, কী ভাবে পা পিষে গেল গাড়ি? অন্য কাহিনি শোনালেন সেই আমলা-পুত্র

মহারাষ্ট্রের আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ গায়কোয়াড় বিজেপি যুবমোর্চার প্রেসিডেন্টও বটে। তাঁর অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে টাকা আদায় করার জন্য এই মিথ্যা কাহিনি রটিয়েছেন ওই তরুণী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৫৬
Bureaucrat’s son dismisses all allegations by girlfriend in Maharashtra

(বাঁ দিকে) আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ গায়কোয়াড়। তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলা তরুণী প্রিয়া সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

মহারাষ্ট্রের আমলা-পুত্র অশ্বজিৎ গায়কোয়াড়ের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ করেছেন তাঁর ‘প্রেমিকা’, তা অস্বীকার করে অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত। তিনি দাবি করেছেন, ওই তরুণী অর্থাৎ, প্রিয়া সিংহ তাঁর প্রেমিকা নন। কী ভাবে তাঁর পা ভাঙল? সে দিন ঠিক কী কী হয়েছিল? অন্য কাহিনি শুনিয়েছেন অশ্বজিৎ।

Advertisement

মহারাষ্ট্র সরকারের রাজ্য সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল গায়কোয়াড়ের পুত্র অশ্বজিৎ বিজেপি নেতাও বটে। তিনি ঠাণে জেলার বিজেপি যুবমোর্চার প্রেসিডেন্ট। তাঁর অভিযোগ, প্রিয়া তাঁর বান্ধবী। টাকার লোভে তিনি এই মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। গোটা বিষয়টিকে চক্রান্ত বলেও দাবি করেছেন যুবক।

অশ্বজিতের দাবি, গত ১১ ডিসেম্বর একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে হোটেলে ছিলেন তিনি। সেখানে ভোরবেলা মত্ত অবস্থায় হাজির হন প্রিয়া। অনুষ্ঠানের মাঝে অশান্তি শুরু করেন তিনি। তাঁর আচরণে বিরক্ত হয়ে অনেকেই সেখান থেকে তরুণীকে চলে যেতে বলেছিলেন। অভিযোগ, তরুণী তাঁদেরও হেনস্থা করেন।

কী ভাবে গাড়ি চাপা পড়লেন তরুণী? অশ্বজিৎ জানিয়েছেন, তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর চালক তাঁকে সরে যেতে বলেছিলেন। গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনও ভাবেই দুর্ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি। অশ্বজিৎ আরও জানান, তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতানোর উদ্দেশ্যে এই গল্প তৈরি করা হয়েছে।

প্রিয়া সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানান, তাঁর সঙ্গে অশ্বজিতের গত সাড়ে চার বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনিও। সেখানে যুবক অস্বাভাবিক আচরণ করেন এবং তাঁকে মারধর করেন। এর পর প্রেমিকাকে ‘শায়েস্তা’ করতে তাঁর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ তিনি দেন চালককে। তরুণী বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রভাবশালী বলেই পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। পরে সমাজমাধ্যমে তরুণীর পোস্ট ভাইরাল হলে এফআইআর দায়ের করা হয়। পুলিশ অবশ্য নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement