সংস্থাগুলির আশা, ২০২৫ সালে বাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক দিন ধরে চড়া। তার বিরূপ প্রভাব পড়েছে স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের (এফএমসিজি) বাজারে। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে। ফলে আর্থিক ভাবে ধাক্কা খেয়েছে সংস্থাগুলি। তাদের মুনাফা বৃদ্ধির হার ধারাবাহিক ভাবে নিম্নমুখী। তবে সংস্থাগুলির আশা, ২০২৫ সালে বাজার ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। বাজেটে কেন্দ্র এমন কিছু পদক্ষেপ করতে পারে, যাতে চাহিদা ফের মাথা তোলে।
ইমামির এমডি হর্ষ আগরওয়ালের মতে, খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার সারা বছর ধরেই চড়া ছিল। মধ্যবিত্ত বাজেট কাটছাঁট করায় তার প্রভাব পড়েছে ভোগ্যপণ্যের উপরে। বিক্রিবাটা কমেছে। ডাবর ইন্ডিয়ার সিইও মোহিত মলহোত্র বলেন, ‘‘বছরভর শহরাঞ্চলে চাহিদা অনেকটাই কম ছিল। আশা করছি পরের বছর চাহিদা বাড়বে। তবে গ্রামাঞ্চলে শেষ দু’টি ত্রৈমাসিকে বিক্রি বেড়েছে। নতুন বছরের প্রথমার্ধ ভাল যাবে বলেই আমাদের আশা।’’ টাটা কনজ়িউমার্সের সিইও সুনীল ডি’সুজাও ২০২৫ নিয়ে আশাবাদী। তাঁর কথায়, ‘‘মানুষ বেশি খরচ করে ভাল পণ্য কিনতে চান। তার একটা প্রবণতা ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, যুব সম্প্রদায় (২০-৪৫ বছর) ভোগ্যপণ্য ক্ষেত্রে বেশি খরচ করে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ক্রেতাদের ৭৬ শতাংশই হবেন এই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। গোদরেজ কনজ়িউমার প্রোডাক্টসের কর্তা আসিফ মালবারি বলেন, ‘‘অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আগামী বাজেটে সরকার একাধিক পদক্ষেপ করতে পারে। ভোগ্যপণ্যে তার প্রভাব পড়বে।’’ আশাবাদী পেপসিকোর ভারতীয় শাখার সিইও জাগরুত কোটেচা। তিনি জানান, নতুন বছরে এ দেশে বাজার বাড়াতে একাধিক পরিকল্পনা করেছেন তাঁরা। জয় পার্সোনাল কেয়ারের চেয়ারম্যান সুনীল আগরওয়াল বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য সচেতনতা বেড়েছে। ফলে এই ধরনের পণ্যের চাহিদা আগামী বছর বাড়বে।’’