গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়ার পর তাঁকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন যুবক। তাই তাঁর দুই পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন চালককে। পায়ের হাড়গোড় ভেঙে সেই তরুণী এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, পুলিশ যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে অস্বীকার করেছে। কারণ তিনি রাজ্যের এক প্রভাবশালী আমলার পুত্র।
ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ঠাণে জেলার। অভিযুক্ত যুবকের নাম অশ্বজিৎ গায়কোয়াড়। তাঁর বাবা অনিল গায়কোয়াড় মহারাষ্ট্র সরকারের রাজ্য সড়ক উন্নয়ন কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। অভিযোগ, প্রভাবশালী হওয়ার কারণেই যুবকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি পুলিশ।
অশ্বজিতের প্রেমিকা প্রিয়া সিংহ ইনস্টাগ্রামে গোটা ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছেন। তিনি নিজের ভাঙা পায়ের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, গত ১১ ডিসেম্বর ভোর ৪টের সময় তিনি প্রেমিকের ডাকে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁদের বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠান চলছিল। কিন্তু যুবক প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন বলে দাবি করেছেন প্রিয়া। যুবকের এক বন্ধু তাঁকে অপমান করেন। তার প্রতিবাদ করতে গেলেই যুবকের সঙ্গে তাঁর ঝামেলা শুরু হয়। প্রিয়া সমাজমাধ্যমের পোস্টে অভিযোগ করেছেন, তাঁকে তাঁর প্রেমিক বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে নিজের গাড়ির চালককে নির্দেশ দেন, তাঁর পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যেতে।
চালকও নির্দেশ অমান্য করেননি। গুরুতর আহত অবস্থায় সারা শরীরে ক্ষত নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে প্রিয়ার। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে থানা থেকে তাঁকে জানানো হয়, ‘উপরমহলের চাপ’ আছে। সেই কারণে তাঁর অভিযোগ পুলিশ নথিভুক্ত করতে পারবে না। এর পরেই সমাজমাধ্যমের দ্বারস্থ হন তরুণী।
প্রিয়ার পোস্ট সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তার পরেই পুলিশও অভিযোগটি গ্রহণ করেছে বলে খবর। তারা প্রথমে অভিযোগ না নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।