—প্রতীকী ছবি।
নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজ শেষ করার জন্য প্রয়োজন ছিল টাকার। তাই প্রতিবেশীর ৯ বছরের ছেলেকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। গত রবিবার ঠাণের এক মসজিদে সান্ধ্যকালীন প্রার্থনায় গিয়েছিল বছর নয়েকের আবিদ। কিন্তু রাত গড়ালেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় বাড়ির লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন। রাতেই ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে আবিদের বাবা মুদাস্সিরের কাছে ফোন আসে। সোমবার বিকেলে কিশোরের দেহ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। চলছে তদন্ত।
অভিযুক্ত যুবক সলমন মৌলবি ঠাণের বদলাপুর এলাকার গোরেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় তাঁর একটি জামাকাপড় সেলাইয়ের দোকান রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে অভিযুক্ত প়ড়শির ছেলেকে অপহরণ এবং খুন করার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজ শেষ করতে কয়েক লক্ষ টাকার প্রয়োজন ছিল সলমনের। তাই ওই কিশোরকে অপহরণ করে ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করেন তিনি।
অন্য দিকে, নিহত কিশোরের পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর তল্লাশিতে নামে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রামবাসীরাও খোঁজাখুজি শুরু করে। এই অবস্থায় চাপের মুখে ওই কিশোরকে অভিযুক্ত মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বলে মনে করছে পুলিশ। সোমবার বিকেলে অভিযুক্তের একটি গোপন ডেরায় হানা দেয় পুলিশ। একটি বস্তার ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত কিশোরের দেহ। এই প্রসঙ্গে ঠাণের পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযুক্ত আমাদের হেফাজতে রয়েছে। কী কারণে ওই কিশোরকে খুন করা হল, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।”