—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে প্রতি দিন রিপোর্ট পাঠাতে হবে। আগামী শুক্রবার থেকে প্রতি দিন রিপোর্ট দিতে হবে এ রাজ্যের বাহিনী সমন্বয়কারী অফিসারকে। এমনই নির্দেশ দিয়ে জানাল সিআরপিএফ। তারা জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর অবস্থান ও গতিবিধি নিয়ে ই-মেল ও হার্ডকপি মারফত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে রিপোর্ট দিতে হবে। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হয়, সে জন্যই এই পদক্ষেপ করতে হবে। সব জায়গায় দ্রুত বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
সিআরপিএফের দিল্লি দফতর থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশের ডিজির সঙ্গে আলোচনা করে কোথায়, কত বাহিনী মোতায়েন হবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধিকে। রেলকে বিশেষ ট্রেন দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সেখানে বাহিনী মোতায়েনের জন্য বিশেষ ট্রেন দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এ রাজ্যে এসে গিয়েছে। ১ মার্চ প্রথম দফায় ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছে আরও ৫০ কোম্পানি বাহিনী। ভোটের দিন ঘোষণার আগেই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে তাদের। জেলায় জেলায় তারা কাজও শুরু করে দিয়েছে। এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছেন জওয়ানেরা। সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই আগে থেকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি করেছে কমিশন। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে আরও ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। তাদের মধ্যে রয়েছে, ১৫ কোম্পানি সিআরপিএফ (সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স), পাঁচ কোম্পানি বিএসএফ (সীমান্তরক্ষী বাহিনী) এবং সাত কোম্পানি সিআইএসএফ (সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স)। এই ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যের কোথায় কোথায় মোতায়েন করা হবে, সে ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছে কমিশন।