Maoist Attack in Chhattisgarh

পঞ্চায়েত সদস্যকে কুপিয়ে খুন, ছত্তীসগঢ়ে এক বছরে সপ্তম বিজেপি নেতা মাওবাদী হামলার বলি!

বিজাপুর জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব শনিবার সকালে বলেন, ‘‘নিহত বিজেপি নেতা ওই গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন।’’

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৪ ১৩:৩৯
ছত্তীসগঢ়ে সিআরপিএফের তল্লাশি অভিযান।

ছত্তীসগঢ়ে সিআরপিএফের তল্লাশি অভিযান। —ফাইল চিত্র।

ছত্তীসগঢ়ের বস্তার ডিভিশনে আবার মাওবাদী হামলা। এ বার অভিযোগ, বিজেপির এক স্থানীয় নেতাকে কুপিয়ে খুন করার। গত এক বছরে ওই রাজ্যে এই নিয়ে সাত জন বিজেপি নেতা মাওবাদী হামলার শিকার হলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

শুক্রবার রাতে বিজাপুর জেলার তোয়ানার গ্রামে নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র ‘পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ (পিএলজিএ)-র সশস্ত্র যোদ্ধারা ঢুকে তিরুপতি কটলা নামে ওই বিজেপি নেতাকে খুন করেন পুলিশ জানিয়েছে। তিরুপতি স্থানীয় ‘জনপদ পঞ্চায়েতে’-এর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। শনিবার সকাল থেকে এলাকা জুড়ে তল্লাশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ এবং সিআরপএফের যৌথ বাহিনী।

বিজাপুর জেলার পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব শনিবার সকালে বলেন, ‘‘নিহত বিজেপি নেতা ওই গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। রাত ৮টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে ধরে কুপিয়ে খুন করা হয়।’’ সূত্রের খবর, মাওবাদীদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গল এলাকায় লৌহ-আকরিক উত্তোলনের পক্ষে প্রচার করছিলেন ওই নেতা। তাই এই ‘হাল’।

২০১৩ সালে গত বছরের নভেম্বরে বিজেপির নারায়ণপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি রতন দুবেকে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় মাওবাদীরা কুপিয়ে হত্যা করেছিল বলে অভিযোগ। তার আগে অক্টোবরে সরখেদা গ্রামে বিরজু তারাম নামে এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। গত বছরের জুন মাসে, বিজাপুর জেলায় একজন স্থানীয় বিজেপি নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বস্তারে মাওবাদীরা তিন জন বিজেপি নেতাকে কুপিয়ে খুন করেছিল বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন
Advertisement