জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের জন্য় প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটের জন্য প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করল বিজেপি। উপত্যকায় বিধানসভায় মোট ৯০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সোমবার ৪৪টি আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিল বিজেপি। কিন্তু পরে আবার তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। প্রায় এক দশক পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট। এ বারের ভোটে অন্যতম মুখ্য বিষয় হতে চলেছে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি। উপত্যকার দুই প্রধান আঞ্চলিক দল— ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিপলস্ ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, উভয় শিবির থেকেই এ বিষয়ে সুর চড়ানো হচ্ছে।
কাশ্মীরে শেষ বিধানসভা ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। তখন পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে ভোটে জিতে সরকার গঠন করেছিল। তবে পরে বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে আসেন মেহবুবা মুফতি। এ বারের বিধানসভা ভোটেও বিজেপির সঙ্গে সখ্য রাখছে না পিডিপি। মেহবুবার দল ইতিমধ্যেই তাদের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে। পিডিপি নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, যদি পিডিপির মূল নীতিগুলির সঙ্গে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স সহমত হয়, তা হলে তাদের সমর্থন করতে কোনও আপত্তি নেই পিডিপির।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ঘুরে এসেছেন। সেখানকার প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছেন। বৈঠকের মুখ্য আলোচ্য বিষয় ছিল বিধানসভা ভোটের জন্য দলের নীলনকশা। সূত্রের খবর, বৈঠকে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এমন অবস্থায় যদি মেহবুবা মুফতির দলেরও সমর্থন থাকে কংগ্রেসের দিকে, তা হলে বিজেপি বিরোধী জোটের শক্তি আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়ে দিয়েছে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে, সে নির্দেশও দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। এ বছরের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বস্ত করেছিলেন, বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে।