রবিবার রাতে বঙ্গোপসাগরে উদ্ধার অভিযান। ছবি: ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী সৌজন্যে।
কলকাতা থেকে পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে মাঝ সমুদ্রে ডুবল জাহাজ। রবিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপ থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে। বঙ্গোপসাগরে এই অঘটনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার অভিযান শুরু করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাদের তৎপরতায় ডুবন্ত ওই পণ্যবাহী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা হয় ১১ জনকে।
উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার রাতে জাহাজডুবির তথ্য পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ এবং জল পথে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছিল। বাহিনীর দু’টি জাহাজ সারাং, অমোঘকে পাঠানো হয় উদ্ধারকাজে। আকাশ পথে তাদের সাহায্য করার জন্য পাঠানো হয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর বিমান সিজি ডরিনারকে। নৈশ অভিযানে ডুবন্ত জাহাজ এমভি আইটিটি পিউমা থেকে ১৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের কারণে সমুদ্র বর্তমানে উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার পর্যন্ত সমুদ্র এই রকমই উত্তাল থাকবে। বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম জলপথ। ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে এই সব সামগ্রী আকাশপথ এবং জলপথে সরবরাহ করা হয়। যার সিংহভাগই চলে জলপথের মাধ্যমে। ভারতের মূল ভূভাগ থেকে প্রথমে তা যায় পোর্ট ব্লেয়ারে। তার পর সেখান থেকে আবার জলপথে অন্য দ্বীপগুলিতে। রবিবার রাতে পোর্ট ব্লেয়ারগামী যে জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, সেটিও পণ্যবাহী জাহাজই ছিল। তবে উপকূলরক্ষী বাহিনীর তৎপরতায় জাহাজ থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।