পটনায় তিন তলা সরকারি বাংলোর চাবিটা যখন হাতে পান, ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন রামবৃক্ষ সদা। ছবি: টুইটার।
২০০৪ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনায় গ্রামে দু’কামরার একটি বাড়ি পেয়েছিলেন। পটনায় তিন তলা সরকারি বাংলোর চাবিটা যখন হাতে পান, ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন রামবৃক্ষ সদা। বিহারের সব থেকে গরিব বিধায়ক বলেন, ‘‘গরিবরা যে দিনই কিছু পান, সে দিনই তাঁর কাছে দীপাবলি। বাড়ির চাবি হাতে পেয়ে আমারও আজ দীপাবলি।’’ বিহারের এই বিধায়কের কথা শুনে অনেকের স্মরণে আসতে পারে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির কথা। পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসা চন্দনা বিধায়কের বেতন ও ভাতার অঙ্ক জেনে যিনি বিস্মিত হয়েছিলেন।
পটনার বীরচাঁদ পটেল পথে বিধায়কদের জন্য বাংলো তৈরি করছে বিহার সরকার। সম্প্রতি সেই বাংলোর চাবি হাতে পেয়েছেন রামবৃক্ষ। তার পরেই আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) বিধায়ক। বলেন, ‘‘আমি বিহারের সব থেকে গরিব বিধায়ক। কোনও গরিব মানুষ যে দিন কিছু পান, সে দিন তাঁর কাছে দীপাবলি হয়। মুখ্যমন্ত্রী আমার হাতে বাড়ির চাবি দিয়েছেন, যে বাড়ির কথা আমি কখনও স্বপ্নেও ভাবিনি। তাই আবেগপ্রবণ হয়েছে পড়েছি আজ।’’ এর পরেই আরজেডি বিধায়ক দলের প্রতিষ্ঠাতা লালুপ্রসাদ যাদবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৪৬ বছরের রামবৃক্ষ। তাঁর কথায়, ‘‘আমি মুষাহার জাতির। লালুপ্রসাদ যাদবই আমায় নেতা বানিয়েছেন। তার পর বিধায়ক করেছেন।’’
सरकारी आवास मिलते ही ये विधायक फफक-फफक कर क्यों रोने लगा? | Unseen India pic.twitter.com/CqGFUX9Xvf
— UnSeen India (@USIndia_) October 27, 2022
২০২০ সালের প্রথম বার বিহারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রামবৃক্ষ। এত দিন খাগাড়িয়ার রাউন গ্রামে দু’কামরার একটি বাড়িতে পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের সঙ্গে থাকতেন বিধায়ক। ২০০৪ সালে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ওই বাড়ি তৈরি হয়েছিল। এ বার সেখান থেকে তিন তলার বাংলোয় যাচ্ছেন রামবৃক্ষ। ২০২০ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময় হলফনামায় আরজেডি নেতা জানিয়েছিলেন, তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ২৫ হাজার টাকা নগদ। আর তাঁর স্ত্রীর নগদের পরিমাণ পাঁচ হাজার টাকা।
রামবৃক্ষের মতোই অবস্থা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরির। প্রথম বার যখন নিজের বিধায়ক ভাতা আর বেতন শুনেছিলেন, হতবাক হয়েছিলেন তিনি। কী করে খরচ করবেন, ভাবতেই পারছিলেন না। বলেছিলেন, ‘‘কী করব এখনও ভাবতে পারছি না। কিন্তু মানুষের জন্য ভাল হয় এমন কিছুই করব প্রথম মাইনের টাকায়। তার পরেও মাইনের টাকা ওই কাজেই লাগাব। অত টাকা তো আমাদের লাগবে না।’’