Bihar

বিহারের স্কুলে হোমওয়ার্ক না করায় পড়ুয়াকে বেধড়ক মার, বাঁ চোখে আঘাত নিয়ে চিকিৎসাধীন ছাত্র

চিকিৎসাধীন শিশুটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হোমওয়ার্ক করে না আনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন। সে সময়েই কোনও ভাবে তার চোখে আঘাত লাগে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৬
পড়ুয়াকে বেধড়ক মার বিহারের স্কুলে।

পড়ুয়াকে বেধড়ক মার বিহারের স্কুলে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

হোমওয়ার্ক না করায় পড়ুয়াকে বেধড়ক মারলেন শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার বিহারের আরওয়াল জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। বাঁ চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন সেই পড়ুয়া।

Advertisement

সোমবার বিহার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই পড়ুয়ার নাম অমিত রাজ। বয়স ১২ বছর। বিহারে আরওয়াল জেলার উমইরাবাদ এলাকার একটি বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া সে। অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার স্কুলে হোমওয়ার্ক না করে আনায় শিক্ষক তাকে বকাঝকা করেন। সেখানেই শেষ নয়, এর পর লাঠি দিয়ে তাকে বেধড়ক মারধরও করেন ওই শিক্ষক। তখনই তার চোখে আঘাত লাগে। বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে সব জানাতেই তাঁরা তড়িঘড়ি শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর বুঝে তাকে পটনা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও সেখানেই চিকিৎসা চলছে তার।

চিকিৎসাধীন শিশুটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার হোমওয়ার্ক না করে আনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষক তাঁকে মারধর করতে শুরু করেন। সে সময়েই কোনও ভাবে তার চোখে আঘাত লাগে। বাড়ি ফিরে ব্যথা বাড়তেই বাবা-মা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। পটনা হাসপাতালের চিকিৎসকও জানিয়েছেন, শিশুটির চোখের আঘাত গুরুতর। আপাতত পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে তাকে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার। ওই শিক্ষক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরওয়াল পুলিশের সুপার রাজেন্দ্রকুমার ভীল বলেন, ‘‘রবিবার অমিতের পরিবারের তরফে থানায় ওই শিক্ষক এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।’’

Advertisement
আরও পড়ুন