তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ওই রিপোর্ট জমা পড়েছে। সেই সঙ্গে নবান্নের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া হয়েছে সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম।
সোমবার শীর্ষ আদালতে ওই মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি চলছে। সেখানেই রাজ্যের আইনজীবী জানান, পাঁচ মহিলা আইপিএস-সহ মোট সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের।
মাসদুয়েক আগে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে অভিষেকের কন্যার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরেই অভিযোগ ওঠে, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দেন, ওই দুই মহিলাকে হেফাজতে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করবে। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মনে করলে যে কোনও অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। এর পরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। তাদের বক্তব্য, পরিবর্তে ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করা যেতে পারে। গত সোমবার হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ওই ঘটনায় আপাতত তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। রাজ্য-গঠিত সিটও আপাতত নিষ্ক্রিয় থাকবে। রাজ্যকে সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দিতে হবে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন মহিলা অফিসার থাকবেন। তবে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, কেবলমাত্র রাজ্যের বাইরে কাজ করছেন, এমন আইপিএস অফিসারদের নাম দিতে হবে। তবে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের হতে পারবেন।
সেই নির্দেশ মেনে শনিবার রাজ্যের তরফে সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, সোমবার আদালতে বক্তব্য জানানোর জন্য সময় চেয়েছেন হাই কোর্টের মূল মামলাকারীরা। আগামী সোমবার ওই মামলার পরবর্তী শুনানি।