Traffic Rules Violation

ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই নোটিস যাবে বসের কাছে! প্রযুক্তিকর্মীদের জন্য নয়া ফরমান বেঙ্গালুরুতে

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, পথনিরাপত্তা এবং ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:২২
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেই এ বার সরাসরি অফিসের বসের কাছে নোটিস পাঠাবে পুলিশ। প্রযুক্তিকর্মীদের জন্য নয়া ফরমান জারি হল বেঙ্গালুরুতে।

Advertisement

ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, পথনিরাপত্তা এবং ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এই কৌশল নেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরু ট্র্যাফিক পুলিশের পূর্ব বিভাগে এই সপ্তাহ থেকেই এই ধরনের সচেতনতামূলক অভিযান শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। ধাপে ধাপে এর আওতায় শহরের বিভিন্ন এলাকাগুলিকে আনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানো, ট্র্যাফিক সিগন্যাল ভাঙা— এ সব হামেশাই ঘটছে। জরিমানা করেও সেই কাজগুলিকে আটকানো যাচ্ছে না বলে ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রে খবর। একটি বিশেষ এলাকায় সমীক্ষা চালায় পুলিশ। সেখানে দেখা গিয়েছে, যতগুলি ট্র্যাফিক আইন অমান্যের ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে বেশির ভাগই অভিযোগ উঠেছে প্রযুক্তিকর্মীদের বিরুদ্ধে। অফিস হোক বা বাড়ি, নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছনোর জন্য অনেক সময় তাঁরা দ্রুত গাড়ি চালাতে গিয়ে সিগন্যাল ভাঙেন অথবা কোনও না কোনও ট্র্যাফিক আইন ভাঙেন। এমনটাই জানিয়েছেন ট্র্যাফিকের এক শীর্ষ কর্তা।

ট্র্যাফিক পূর্ব বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার কুলদীপ কুমার জৈন বলেন, “প্রাথমিক ভাবে পূর্ব বিভাগেই এই ধরনের অভিযান চালানো হচ্ছে। যদি কোনও তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ট্র্যাফিক আইন ভাঙেন, তা হলে সরাসরি নোটিস পাঠানো হবে ওই কর্মীর অফিসে। ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপে সেই নোটিস পাঠানো হবে। ট্র্যাফিক আইন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” ডেপুটি কমিশনার আরও জানিয়েছেন, যে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ট্র্যাফিক আইন ভাঙবেন, তাঁর পরিচয়, কোন সংস্থায় কাজ করেন— সব তথ্য যাচাই করা হবে। তার পর ওই কর্মীর ‘অপরাধ’ সম্পর্কে জানানো হবে তাঁদের বসকে।

আরও পড়ুন
Advertisement