মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে আবার ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। এ বার ঘটনাস্থল কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানের মন্দির-শহর পুষ্কর। মমতার কনভয় অবশ্য থামেনি। মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি মমতার কনভয় দেখে স্লোগান তোলেন, তাঁকে তাড়া করে পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়েছে কি না, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
মঙ্গলবার দুপুর সওয়া একটা নাগাদ রাজস্থানের অজমের শরিফে যান মমতা। সেখানে চাদর চড়ানোর পর তিনি যান পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরে। পুজো দিয়ে যখন তাঁর কনভয় বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখনই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার করে বার দুয়েক ‘জয় শ্রীরাম’ বলে ওঠেন।
মমতাকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলায় অতীতে একাধিক বার উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালের মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার কাছে কয়েক জন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় দেখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তোলেন। স্লোগান কানে যাওয়া মাত্র গাড়ি থামাতে বলেন মমতা। তার পর গাড়ির দরজা খুলে নেমে আসেন রাস্তায়। স্লোগান দেওয়া যুবকরা তখন বেগতিক বুঝে দৌড়ে পালাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী সে দিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে থাকেন, ‘‘কী রে, পালাচ্ছিস কেন? আয়, আয়! পালাচ্ছিস কেন?’’ এর পর একাধিক বার মমতার গাড়িকে দেখে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি উঠেছে। তাতে কখনও বিরক্ত, কখনও মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে। কিছু দিন আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবের সমর্থনে সভা করতে যাওয়ার সময়ও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। তবে সে বার মেজাজ হারননি মমতা। পরে বক্তৃতায় বলেন, ‘‘জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু এরা কখনও জয় সিয়ারাম বলে না।’’
মমতাকে সবচেয়ে বিরক্ত হতে দেখা গিয়েছিল ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে। নেতাজি জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে ক্ষুব্ধ, বিরক্ত মমতা ভাষণ না দিয়েই পোডিয়াম ছাড়েন। মঞ্চে তখন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মমতা সরকারি অনুষ্ঠানে ধর্মীয় স্লোগানের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তৃতা বয়কট করেন।