গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
আট বছর আগে নভেম্বর মাস। সংসদে অতিথিদের গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দিয়ে ভবনে পড়েছিলেন এক যুবক। ঢুকেছিলেন মোদী সরকারের এক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে। ঘটনাচক্রে, বুধবারের মতো সে বারও এক বিজেপি সাংসদের সৌজন্যেই সংসদে ঢুকেছিলেন ওই বিক্ষোভকারী।
বুধবার দুপুরে সংসদে জ়িরো আওয়ারে হুলস্থুল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সৌজন্য দুই যুবক। আচমকা তাঁরা গ্যালারি থেকে লাফ দেন সংসদের ভবনে। ছিটকে সরে গিয়ে সাংসদেরা দেখেন হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছে চারদিকে। দু’জনের হাতেই ছিল ‘রং বোমা’। পরে অবশ্য এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। তবে এটাই প্রথম বার নয়। এর আগে ২০১৬ সালেও সংসদে ঢুকে পড়ে গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
দিনটা ছিল ২৫ নভেম্বর। সংসদে অধিবেশন চলছিল। ঘড়ির কাঁটায় ১১টা ২০ মিনিট। আচমকা শব্দ। এবং এক ‘অচেনা অতিথি’কে ঝাঁপ দিয়ে ভবনে পড়তে দেখেন সাংসদেরা। ওই ‘অতিথি’ তখন চিৎকার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছেন। এমন হুড়োহুড়ি শুরু হয় যে দুপুর পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন লোকসভার তৎকালীন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। ঝাঁপ দিয়ে পড়া ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষীরা সরিয়ে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তাঁর নাম রাকেশ সিংহ বঘেল। তিনি বুলন্দশহরের বিজেপি সাংসদ ভোলা সিংহের অতিথি হয়ে সংসদে ঢুকে পড়েন। পরে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘৫০০ এবং ১০০০ টাকা নোট বন্ধের প্রতিবাদ করতে এসেছিলাম।’’ ওই ঘটনায় সংসদে বেশ হুলস্থুল পড়ে যায়। পরে ওই ব্যক্তি সম্পর্কে তথ্য জানার পর স্পিকার সুমিত্রা সংসদে জানান, বঘেল মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার বাসিন্দা।
প্রবেশপত্র বা অনুমতিপত্র থাকলে সংসদে অধিবেশন দেখতে প্রবেশ করা যায়। সংসদ ভবনের উঁচু গ্যালারিতে বসে লোকসভা, রাজ্যসভার আলোচনা পর্ব দেখতে পারেন সেই অতিথি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সাংসদদের অতিথি হয়েই ঢোকেন এঁরা। তেমনই বুধবার বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমহার অতিথি হয়ে সংসদ ভবনে প্রবেশ করেছিলেন সাগর শর্মা নামে এক যুবক। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সংসদে হানায় তিনিই মূল অভিযুক্ত।