লোকসভায় হানাদারদের ধরে ফেলার মুহূর্ত। ছবি: এক্স।
সভা চলাকালীন লোকসভায় ঢুকে আচমকাই হানা দেন দুই যুবক। তাঁরা সভার মাঝে ‘রং বোমা’ ছোড়েন এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। আচমকা এই হানায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সাংসদদেরা। কিছু ক্ষণের মধ্যে হানাদারদের ধরে ফেলা হয়। তবে নিরাপত্তারক্ষীরা নন, হানাদারদের ধরেছেন লোকসভারই দুই সাংসদ। বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) সাংসদ মালুক নাগর এবং রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির (আরএলপি) সাংসদ হনুমান বেনিওয়াল। দিনের শেষে লোকসভায় ‘নায়ক’ তাঁরাই। এই দুই সাংসদই হানাদার যুবকদের ধরেছেন। তার পর তাঁদের তুলে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে। মালুক উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরোর সাংসদ। হনুমান রাজস্থানের নাগৌর কেন্দ্রের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি আরএলপি দলের প্রেসিডেন্ট।
বুধবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছিল। সভা চলাকালীন বেলা ১টার পরে আচমকা উপর দিকের দর্শকের গ্যালারি থেকে লোকসভার চেম্বারে ঝাঁপিয়ে পড়েন দুই যুবক। তাঁদের দেখে হুলস্থুল পড়ে যায় সভায়। তাঁরা হলুদ রঙের ধোঁয়া সভায় ছড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। বেঞ্চ থেকে বেঞ্চে লাফিয়ে ধোঁয়া ছড়াতে থাকেন হানাদারেরা। সঙ্গে স্লোগানও দিচ্ছিলেন। কিছু ক্ষণের মধ্যে দুই সাংসদের চেষ্টায় তাঁরা ধরা পড়ে যান। তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নিরাপত্তারক্ষীরা যখন দুই যুবককে ধরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনও তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘দু’জন গ্যালারি থেকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাঁদের হাতে কিছু ছিল। হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছিল তা থেকে। আমাদের সাংসদেরাই তাঁদের ধরে ফেলেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা হানাদারদের ধরে বার করে আনেন।’’