BBC

বিবিসিকে নিষিদ্ধ করার ডাক, তথ্যচিত্রকাণ্ডে সংবাদমাধ্যমের দফতরে পোস্টার হিন্দু সেনার

বিবিসির তৈরি ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রের জেরে ওই সংবাদমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিল হিন্দু সেনা। বিবিসির দাবি, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:০১
Hindu Sena demands to ban BBC over India:The Modi Question documentary.

বিবিসিকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাল হিন্দু সেনা। ছবি টুইটার।

গুজরাতে হিংসা এবং সে রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে তৈরি বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। এই আবহে ব্রিটিশ ওই সংবাদমাধ্যমকে ‘নিষিদ্ধ’ করার দাবি জানিয়ে সরব হল হিন্দু সেনা। রবিবার নয়াদিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গে বিবিসির দফতরের বাইরে এ নিয়ে পোস্টার সাঁটিয়েছেন হিন্দু সেনার কর্মীরা।

‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্ক বেধেছে। এই তথ্যচিত্রটি ‘একপেশে’ বলে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। মোদীকে নিয়ে ওই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সমাজমাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার জন্য টুইটার ও ইউটিউবকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকারের এই পদক্ষেপকে ‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছে বিরোধীরা।

Advertisement

এই ‘বিতর্কিত’ তথ্যচিত্রের প্রদর্শনী ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ), জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। ‘আপত্তি’ সত্ত্বেও কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, মুম্বইয়ের ‘টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সেস’(টিআইএসএস), তিরুঅনন্তপুরমের একটি আইন কলেজ ও হায়দারাবাদ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। এই আবহে বিবিসিকে ‘নিষিদ্ধ’ করার ডাক দিল হিন্দু সেনা।

‘ইন্ডিয়া টুডে’কে হিন্দু সেনার প্রধান বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, ‘‘দেশে একতা এবং অখণ্ডতার কাছে বিবিসি বিপজ্জনক। অবিলম্বে বিবিসিকে নিষিদ্ধ করা হোক।’’ তিনি আরও বলেন যে, অতীতে বিবিসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থার সময় নিষিদ্ধ করা হয়েছিল বিবিসিকে। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement