গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের স্ত্রীকে ‘মাফিয়া’ ঘোষণা করল পুলিশ। ফাইল চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের স্ত্রী শায়িস্তা পরভিনকে ‘মাফিয়া’ বলে ঘোষণা করা হল। একটি নতুন এফআইআরে শায়িস্তাকে ‘মাফিয়া’ বলে উল্লেখ করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। একই সঙ্গে আতিকের ছোট ছেলে আলিকে হেফাজতে নিতে চেয়ে প্রয়াগরাজের জেলেও পৌঁছেছে পুলিশ।
আতিকের স্ত্রী শায়িস্তা পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ। তাদের ধারণা, শায়িস্তা যেখানেই রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে রয়েছে এক বন্দুকবাজ, যার নাম সাবির। তাঁর সন্ধানেও চিরুনিতল্লাশি চালানো হচ্ছে। উমেশ পাল হত্যাকাণ্ডে এই সাবিরও অন্যতম অভিযুক্ত। তাঁর মাথার দাম ৫ লক্ষ টাকা।
আতিকের ছোট ছেলে আলি আগেই গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁকে রাখা হয়েছে প্রয়াগরাজের নৈনি জেলে। তাঁকে হেফাজতে নিতে চেয়ে রবিবার জেলে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একটি দল। আলিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা।
উমেশ পাল যখন খুন হন, সেই সময় জেলেই ছিলেন আলি। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, গুড্ডু মুসলিম, সাবির এবং মহম্মদ গুলাম আলি ওই হত্যাকাণ্ডের আগে জেলে আতিকের ছোট ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁরা আলির বন্ধু সেজে জেলে প্রবেশ করেছিলেন। উমেশের হত্যাকাণ্ডে আতিকের মামলা চলাকালীন আদালতে তাঁর আইনজীবী মারফত এই ঘটনায় জেলবন্দি আলির যোগসূত্রের কথা জানা গিয়েছিল। সেই সূত্র ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আতিকদের সঙ্গে বন্দুকবাজ গুলাম আলির যোগাযোগের নেপথ্যে ছিলেন আলি। তাঁর কথাই শুনে চলতেন গুলাম আলি। তিনি জেলে যাওয়ার পর শায়িস্তার আস্থাভাজন হন বন্দুকবাজ।
গত ১৩ এপ্রিল উমেশ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আতিকের বড় ছেলে আসাদের মৃত্যু হয় এনকাউন্টারে। তার পর বন্দি আতিককে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় আততায়ীরা গুলি করে খুন করেন তাঁকে। এ বার তাঁর ছোট ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।