—নিজস্ব চিত্র।
সময় বেঁধে দিয়েছিল প্রশাসন। সকাল ১০টার পর আর কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি ছিল না বিজেপির। নন্দীগ্রামে সেই সময়সীমা না-মানার অভিযোগ উঠল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। বিরোধী দলনেতা ভাষণ শেষ করতেই এক প্রকার তাড়া করে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘শহিদ দিবসের’ মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিল পুলিশ! যদিও সময়ে সভা শেষ না করার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক জমি ফিরে পাওয়ার আশায় ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর ‘সূর্যোদয়’ অভিযানের ডাক দিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন শাসক দল সিপিএম। সে দিনের রক্তাক্ত অভিযানে প্রাণ গিয়েছিল জমি আন্দোলনের একঝাঁক নেতা-কর্মীর। এখনও নিখোঁজ বেশ কয়েক জন। তার পর থেকে প্রতি বছর এই দিনটিতে নন্দীগ্রামের করপল্লিতে ‘শহিদ স্মরণ’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কিন্তু ২০২০ সালে শুভেন্দু তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই করপল্লিতে কর্মসূচির আয়োজন করা নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ে নন্দীগ্রামে। গত বছরের মতো এ বারও দ্বন্দ্বে জড়ায় তৃণমূল এবং বিজেপি। উত্তাপ আঁচ করে যুযুধান দুই গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে বসে পুলিশ-প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৈঠকে প্রথমে সভা করার অনুমতি চায় বিজেপি। সেই মতো শুক্রবার সকাল ৮টায় করপল্লির শহিদবেদিতে স্মরণসভার আয়োজন করবে তারা। এর পর ৯টা নাগাদ সভায় যোগ দেওয়ার কথা শুভেন্দুর। বিজেপির অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কথা সকাল ১০টায়। অভিযোগ, বিজেপি সেই সময়সীমা মানেনি। বিরোধী দলনেতার আসার কথা ছিল সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে। কিন্তু তিনি এসে পৌঁছন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। যার জেরে তাঁর সভা শেষ করতে সওয়া ১০টা বেজে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিরোধী দলনেতা অতিরিক্ত সময় নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। এর পরেই পুলিশ তৎপর হয়ে বিজেপি কর্মীদের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়। অভিযোগ, বিজেপির পরেই তৃণমূলের সভা থাকায় শহিদ বেদিতে থাকা ফুলের মালা দ্রুত খুলে ফেলা হয়। তার পর পরিষ্কার করা হয় জল দিয়ে ধুয়ে।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা স্বদেশ দাস অধিকারী বলেন, ‘‘আমরা সময়েই অনুষ্ঠান শেষ করেছি। কোনও বিতর্কে না গিয়ে সময় মতো মঞ্চ খালি করে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেও পুলিশ বেশি তৎপরতা দেখিয়ে আমাদের কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী কোনও বিতর্ক চান না। আমরাও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।’’