গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল বলেছেন, ‘‘বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য যা করা প্রয়োজন, কংগ্রেস তাই করবে।’’ জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তারিখ হামিদ কার্রার মন্তব্য, ‘‘এখনও পর্যন্ত আমাদের দরজা সকলের জন্য খোলা রয়েছে।’’ কিন্তু দেশের বৃহত্তম কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা কী বলছেন? বিধানসভা ভোটের আগে তারই উত্তর খুঁজতে বুধবার বিকেলে শ্রীনগরে রওনা হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে।
কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, দু’দিনের এই সফরে শ্রীনগরে কাশ্মীর উপত্যকার নেতৃত্বের পাশাপাশি জম্মুতে গিয়েও বৈঠক করবেন রাহুল-খড়্গে। লোকসভা ভোটে দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ফারুক আবদুল্লা এবং তাঁর পুত্র ওমরের দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে সমঝোতা করে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাঁদের নিয়ে দলের একাংশের আপত্তি রয়েছে বলে ‘খবর’। এ ক্ষেত্রে ‘ইন্ডিয়া’র আর এক শরিক পিডিপি নেত্রী তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবার সঙ্গে রফার দাবিও উঠেছে দলের অন্দরে। তবে কাশ্মীর উপত্যকার কংগ্রেস নেতাদের বড় অংশই একক শক্তিতে বিধানসভা ভোটে লড়তে চান বলে দলের ওই সূত্র জানাচ্ছে।
লোকসভা ভোটে ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট করে জম্মু উপত্যকার জম্মু ও উধমপুরে লড়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু দু’টি আসনেই জয়ী হয় বিজেপি। অন্য দিকে, কাশ্মীর উপত্যকার শ্রীনগরে ন্যাশনাল কনফারেন্স জিতলেও বারামুলায় দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা নির্দল প্রার্থীর কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন। দক্ষিণ কাশ্মীর এবং জম্মুর উত্তরাংশ নিয়ে গঠিত অনন্তনাগ-রাজৌরি অবশ্য ফারুকের দল দখলে রাখতে পেরেছিল। প্রসঙ্গত, এ বার ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হবে তিন দফায়— ১৮ সেপ্টেম্বর, ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর। গণনা ৪ অক্টোবর।
২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে শেষ বার বিধানসভা ভোট হয়েছিল অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যে। ২০১৯ সালের অগস্টে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার এবং রাজ্যের মর্যাদা বিলোপ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। লাদাখকেও আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়েছিল। ২০১৪ সালে বিধানসভা ভোট হয় অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ৮৭টি আসনে। এর মধ্যে চারটি ছিল লাদাখের। সেগুলির অস্তিত্ব লোপের পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্বে থাকা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির বিধানসভা আসনসংখ্যা ৮৩ থেকে বাড়িয়ে ৯০ করা হয়েছে। সাতটি আসনের মধ্যে ছ’টি বেড়েছে জম্মুতে (৩৭ থেকে ৪৩) এবং একটি কাশ্মীরে (৪৬ থেকে ৪৭)। কমিশন জানিয়েছে, ২০১১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই আসন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।