Russia-Ukraine War

পুতিনের ঠিকানায় হামলার চেষ্টা জ়েলেনস্কির বাহিনীর! ক্রেমলিনের অদূরে আছড়ে পড়ল ড্রোন

কুর্স্ক সীমান্তেও বুধবার দু’বাহিনী লড়াই নতুন করে শুরু হয়েছে। মস্কোর পাশাপাশি দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক সীমান্তেও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৫:২৭

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সীমন্তবর্তী কুর্স্ক এলাকার পর এ বার ইউক্রেনের নিশানায় রাশিয়ার রাজধানী মস্কো। মঙ্গলবার রাত থেকে রাশিয়ার রাজধানীতে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির অনুগত ফৌজ। এমনকি, কয়েকটি ড্রোন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাসভবন ক্রেমলিনের আকাশ নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যেও ঢুকে পড়ে বলে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেন সেনা ড্রোন ব্যবহার করে আকাশপথে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মস্কোতে হামলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। ক্রেমলিন থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ-পশ্চিম রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক সীমান্তে ধ্বংস করা হয়েছে ১৫টি ড্রোন। টুলা অংশে ধ্বংস করা হয় আরও দু’টি। অন্য দিকে, রাশিয়ার তরফে বুধবার পূর্ব ইউক্রেনের জ়েলানে শহর দথলের দাবি করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, পর পর ড্রোন হামলায় বিপদের আঁচ পেয়ে সাময়িক ভাবে নুকোভো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয় বার মস্কোয় ড্রোন হামলা চালাল ইউক্রেন। ব্রায়ানস্ক অঞ্চলের গভর্নর আলেকজ়ন্ডার বোগোমাজ় জানান, ড্রোন হামলায় তাঁর এলাকায় তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভ্যাসিলি গোলাবেভ বুধবার বলেন, ‘‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সফল ভাবে ড্রোন হামলার মোকাবিলা করেছে।’’

কুর্স্ক সীমান্তেও বুধবার দু’বাহিনী লড়াই নতুন করে শুরু হয়েছে। রুশ সেনা সেখানে হাতছাড়া হওয়া ভূখণ্ড পুনর্দখলের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। গত ৬ অগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ার কুর্স্কে অঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন সেনা। তারা এরই মধ্যে রুশ সীমান্তের ৩০ কিলোমিটারের বেশি গভীরে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন অভিযানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডার আলেকজ়ন্ডার সিরস্কি। কুর্স্কের রুশ গভর্নর সম্প্রতি জানান, ইউক্রেনের অভিযান শুরু হওয়ার পর ওই অঞ্চল থেকে প্রায় এক লাখ ২১ হাজার রুশ নাগরিক ঘরছাড়া হয়েছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement