দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় আবারও অরবিন্দ কেজরীওয়ালকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই নিয়ে ষষ্ঠ বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হল। ইডির নোটিসে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এর আগে পাঁচ বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছেন কেজরী। শেষ বার ২ ফেব্রুয়ারি কেজরীওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে পঞ্চম সমন পাঠিয়েছিল ইডি। কিন্তু তিনি হাজিরা দিতে যাননি। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘সমন বেআইনি’। তাঁকে গ্রেফতার করাই মূল উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এর আগে ২ নভেম্বর, ২১ ডিসেম্বর, ৩ জানুয়ারি, ১৩ জানুয়ারি সমন পাঠানো হয়েছিল কেজরীকে। প্রতি বারই অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি।
তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ইডি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রউস অ্যাভিনিউ আদালতের বিচারক দিব্যা মলহোত্রের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। শুনানি শেষে বিচারক বলেন, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি কেজরীকে সশরীরে হাজিরা দিয়ে জানাতে হবে কেন তিনি বার বার ইডির তলব এড়িয়ে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত আপের দুই প্রবীণ নেতা, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ গ্রেফতার হয়ে তিহাড় জেলে গিয়েছেন। অভিযোগ, দিল্লি সরকারের ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি বেশ কিছু মদ ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিচ্ছিল। এই নীতি প্রণয়নের জন্য যাঁরা ঘুষ দিয়েছিলেন, তাঁদের সুবিধা করে দেওয়া হচ্ছিল। আপ সরকার সেই অভিযোগ মানেনি। সেই নীতি যদিও পরে খারিজ করা হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লির তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছর এপ্রিলে এই মামলার তদন্তে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিল সিবিআই। টানা ন’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। পরে ওই মদ-কাণ্ডে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের খোঁজে পৃথক তদন্ত শুরু করে ইডি। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেজরীকে বার বার তলব করেছে তারা। যদিও এখনও পর্যন্ত এক বারও ইডির সমনে সাড়া দেননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।