N Chandrababu Naidu

‘চন্দ্রবাবু প্রভাবশালী, তাই ব্যাহত হতে পারে তদন্ত’, সুপ্রিম কোর্টে জামিন রদ চাইল জগনের সরকার

গত ৩১ অক্টোবর ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে’ চন্দ্রবাবুর চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্ট। ৫৩ দিনের বন্দিদশার পরে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:১৪

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট দুর্নীতি’ মামলায় ধৃত চন্দ্রবাবু নায়ডুর জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডির সরকার। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)-র প্রধান চন্দ্রবাবুর স্থায়ী জামিনের আবেদন সোমবার মঞ্জুর করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্ট। সেই সিদ্ধান্তকে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অন্ধ্র সরকারের তরফে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, চন্দ্রবাবুর মতো প্রভাবশালী নেতা জমিনে মুক্ত থাকলে, মামলার তদন্ত ব্যাহত হতে পারে।

Advertisement

গত ৩১ অক্টোবর ‘স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণে’ চন্দ্রবাবুর চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিল অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্ট। ৫৩ দিন পুলিশ এবং জেল হেফাজতে কাটানোর পরে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। তেলঙ্গানার হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে ছানি অস্ত্রোপচারের পরে তিনি এখন বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। ৩১ অক্টোবর হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৫টার মধ্যে রাজামহেন্দ্রভারম (সাবেক রাজামুন্দ্রি) কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপোর্ট করতে হবে চন্দ্রবাবুকে। কিন্তু স্থায়ী জামিন মেলায় বিচারের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তার প্রয়োজন হবে না।

অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এবং সিআইডির অভিযোগ, চন্দ্রবাবু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সে রাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর প্রায় ৩৭১ কোটি টাকার তহবিল নয়ছয় হয়েছে। চন্দ্রবাবুর পাশাপাশি, এই মামলায় তাঁর ছেলে তথা টিডিপি নেতা নারা লোকেশকেও গত ৯ সেপ্টেম্বর ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই মামলায় ধৃতের তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা টিডিপি বিধায়ক গন্ত শ্রীনিবাস রাও এবং তাঁর ছেলে রবিজেতা। যদিও টিডিপি নেতৃত্বের অভিযোগ, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রধান জগন্মোহন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই পদক্ষেপ করেছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন